• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী’ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই – প্রধানমন্ত্রী র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি

বিএনপি আঘাত করলে আমরা সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার আরও কঠোর হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দলটির সভাপতি এ ইঙ্গিত দেন। উদ্ভুত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আজ বৈঠক ডেকেছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার আঘাত করলে আমরা সহ্য করব না। আমরা ২০২২ পর্যন্ত সহ্য করেছি। এখন আর করব না। বসে বসে আর মার খাওয়া যাবে না। ওদের কীসের ক্ষমা। গণতন্ত্র তাদের মুখে মানায় না।’

সারা দেশে দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে মাঠে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘খিচুড়ি খেয়ে সরকার হটানো যাবে না। যে হাত দিয়ে মারতে আসবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। তারা সরকারকে উৎখাত করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সরকার জনগণের সেবক। খিচুড়ি খাইয়ে সরকারের পতন ঘটানো সহজ নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। আওয়ামী লীগ কারও পকেটের সংগঠন না। বিএনপির জন্ম জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে। আওয়ামী লীগের জন্ম রাজপথে, জনগণের হাতে।’

নয়াপল্টনে বুধবারের ঘটনা ‘বিএনপির টেস্ট কেস’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘তারা বিআরটিসির বাস পুড়িয়েছে। এটা তাদের টেস্ট ছিল। নেতাকর্মীদের বলছি, সবাই প্রস্তুত থাকুন। মেহনতী মানুষের ওপর আঘাত করলে তাদের ক্ষমা নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিআরটিসির বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে যে বাসে আগুন দিতে আসবে, তাকে ধরে আগে তার হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। বিএনপি-রাজাকারদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করব। তারেক রহমানকে এ দেশে এনে সাজা বাস্তবায়ন করব।’

এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির যে অভিযোগ বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে করে আসছে, সেটিরও জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট চুরি করে না। জনগণের ভোট জনগণের হাতে তুলে দেয়। বিএনপির স্বভাব তো যায় না। তারা ২০০১ সালে গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে।’

বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছিল অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি দখল করে পুকুর কেটে কলা গাছ লাগানো হয়েছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রতিশোধ নিতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করিনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ২০০১ সালে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। আমি, আমার বোন কোথায় টাকা রেখেছি খোঁজ করেছে। কিন্তু কিছুই পায়নি। আসলে তারা লুটে খেতে ক্ষমতায় এসেছিল কিন্তু আওয়ামী লীগ দিতে এসেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যেদের মধ্যে সভায় অংশ নেন বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও কামরুল ইসলাম। যুগ্মসাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর