• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পতেঙ্গা সৈকত ঘিরে মাস্টার প্ল্যান তৈরিসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত কর্মপরিধি বাড়ছে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের উত্তরের যোগাযোগে আসবে গতি চট্টগ্রাম বন্দরে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ হেমায়েতপুরে হবে বহুতল টার্মিনাল চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখের বেশি পশু প্রস্তুত দেশকে আরও এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ : নানক শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বৈদেশিক ঋণের প্রকল্পে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা

ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

কোনো ভুল তথ্য দিয়ে ভূমি বা আবাসিক প্লট কেনা কিংবা হস্তান্তরের পর বিষয়টি ধরা পড়লে ওই বরাদ্দ ও হস্তান্তর বাতিল করে দেয়া হবে। একই সঙ্গে প্লট বরাদ্দের চার বছরের মধ্যে সেখানে বাড়ি না করলে গুনতে হবে জরিমানা। এমন সব বিধি রেখে গত ২৮ এপ্রিল ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ভূমি, প্লট, স্পেস ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ) বিধিমালা, ২০২৪’ জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এর আগে এ বিষয়ে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ল্যান্ড অ্যালোটমেন্ট) রুলস, ১৯৬৯’ ছিল।

নতুন বিধিমালায় রাজউকের ভূমি বা আবাসিক প্লট, বাণিজ্যিক প্লট, বাণিজ্যিক স্পেস, শিল্প প্লট, প্রাতিষ্ঠানিক প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা বা উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত কোনো প্রকল্পের ভূমি বা কোনো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদিত লে-আউট প্ল্যানে চিহ্নিত ভূমি বা আবাসিক প্লট বরাদ্দ দিতে পারবে রাজউক। এক্ষেত্রে জনসাধারণের কাছে আবেদন আহ্বান করে কমপক্ষে দুটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। ভূমি বা আবাসিক প্লটের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক এবং বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।

কোনো ব্যক্তি যদি নিজ নামে বা তার স্ত্রী বা স্বামীর নামে এর আগে কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমি বা আবাসিক প্লট বরাদ্দ পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য হবেন। সেই সঙ্গে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে কোনো আবেদন দাখিল করলে তা বাতিল করতে হবে এবং জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজউকের নতুন এ বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, ভূমি বা আবাসিক প্লট অন্য কারো কাছে হস্তান্তরের পর যদি প্রমাণিত হয় যে গ্রহীতা মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে বরাদ্দ নিয়েছেন, তবে ওই বরাদ্দ ও হস্তান্তর বাতিল করতে হবে। এক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ গ্রহীতা হস্তান্তর গ্রহীতাকে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেবেন। প্লটের ধরন ও আকারভেদে ভূমি বা আবাসিক প্লটের সংখ্যা যোগ্য আবেদনকারীর তুলনায় কম হলে উন্মুক্ত লটারি ও তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে বরাদ্দ দিতে হবে।

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য, বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী, সরকারি কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী (নিবাসী), সাংবাদিক, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বেসরকারি চাকরিজীবী ও শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, আইন ও আইনগত দলিলাদি নিরীক্ষা কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারী, কৃষিবিদ, প্রকৌশলী, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ, চিকিৎসক, মূল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক আবাসিক প্লট সংরক্ষণ করা যাবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যেকোনো প্রকল্পের আবাসিক প্লটে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের জন্য ২ শতাংশ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার কর্মচারীদের জন্য ২ শতাংশ এবং কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা যাবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো বরাদ্দ গ্রহীতা সাময়িক বরাদ্দ প্রাপ্তির পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া প্রথম কিস্তির অর্থ যথাসময়ে পরিশোধ না করলে আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়ে বরাদ্দপত্র বাতিল করা যাবে। ভূমি বা আবাসিক প্লট বরাদ্দ গ্রহীতাকে আবশ্যিকভাবে ইজারা দলিল রেজিস্ট্রেশন করার পর ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ চার বছরের মধ্যে বসবাস উপযোগী করে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। কেউ তাতে ব্যর্থ হলে প্রতি বছর প্রতি কাঠার জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়ে বিধিমালায় বলা হয়েছে, রাজউক কোনো আবাসিক প্রকল্পে অধিকসংখ্যক জনগণের আবাসন ব্যবস্থা করার জন্য উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যম ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য এক বা একাধিক এলাকা বা ব্লক আকারে ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করতে পারবে। কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যেকোনো প্রকল্পে নির্মিত ফ্ল্যাটের মোট সংখ্যার ১০ শতাংশ সরকারি কর্মচারীদের জন্য, ৩ শতাংশ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে বরাদ্দের জন্য, ৩ শতাংশ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দের জন্য এবং ২ শতাংশ কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ মূল্য কিস্তিতে পরিশোধের পর অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ মূল্য কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে পরবর্তী ১৫ বছরের কিস্তিতে বা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ আবাসিক ফ্ল্যাটের মূল্য নির্ধারণের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবে।

রাজউক নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় চিহ্নিত এলাকায় বা কর্তৃপক্ষের কোনো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদিত লে-আউট প্ল্যানে চিহ্নিত স্থানে ভবন নির্মাণ করে সাশ্রয়ী ভাড়া বা মূল্য পরিশোধের ভিত্তিতে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিতে পারবে বলে বিধিমালায় জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর