• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী’ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই – প্রধানমন্ত্রী র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি

বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করুন

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

কাতারের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে জ্বালানি, অবকাঠামো, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় একটি হোটেলে কাতারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে দুই দেশের সরকারের একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যৌথ ব্যাবসায়িক ফোরাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের বেসরকারি খাতগুলোকে পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক অংশীদারির জন্য একক প্ল্যাটফরমে আনতে হবে। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। কাতারে বসবাসরত অনাবাসী

বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি জাতি গঠন প্রচেষ্টায় তাঁদের অংশগ্রহণ কামনা করেন। তিনি জানান, কাতারের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নে অংশীদার হতে চায় বাংলাদেশ।

কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অবকাঠামো ও লজিস্টিক খাত বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। আমাদের বিশ্বাস নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাতে কাতারের বিনিয়োগের সুযোগ আছে। আমরা সমুদ্র গ্যাস অনুসন্ধান এবং জ্বালানি বিতরণে কাতারের দক্ষতা থেকে লাভবান হতে পারি।’

বাংলাদেশে অ্যাগ্রো-প্রসেসিং শিল্পের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের কৃষি প্রবৃদ্ধি ‘বাই-ব্যাক’ ব্যবস্থাসহ অ্যাগ্রো-প্রসেসিং শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি, যেখানে কাতার রিয়েল এস্টেট এবং সেবা সেক্টরে সম্পৃক্ত হতে পারে।’

তিনি বলেন, “‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ আমরা অন্তত ১০টি ‘ইউনিকর্ন’ (মেগা বিনিয়োগ ও উদ্যোগ) পেতে চাই। আমাদের প্রাণবন্ত ‘স্টার্ট আপ’ কাতারের বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। কাতারের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের পোর্টফোলিও হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।”

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজারকে আরো উন্নত করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কঠোর পরিশ্রম করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ব্যবস্থা সবচেয়ে উদার। ট্যাক্স হলিডে, যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি শুল্ক, রয়ালটি রেমিট্যান্স, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও ফি, শতভাগ বিদেশি ইকুইটি, অবাধ বহির্গমন নীতি, লভ্যাংশের সম্পূর্ণ প্রত্যাবাসন সুবিধা এবং মূলধন ফেরতসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের সরকার সমন্বিত সুবিধাসহ সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি দেশের জন্য নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। তিনি পদ্মা বহুমুখী সেতু, কর্ণফুলী নদীর টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত তৃতীয় টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রো রেল ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সবই এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়ের সাক্ষ্য দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সহজলভ্য শ্রমিকের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ৫ সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী : স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে পাঁচটি সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পঞ্চম জাতিসংঘ এলডিসি সম্মেলনের সাইডলাইনে গতকাল দুপুরে ‘ইনভেস্ট ইন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন এলডিসি ফর স্মার্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ সোসাইটিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ সহযোগিতা চান।

তিনি বলেন, স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে উন্নীত হতে সাহায্য করবে।

প্রথম সহায়তা হিসেবে শেখ হাসিনা জলবায়ুসংক্রান্ত পদক্ষেপসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কার্যকর প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি খাতকে যথাযথ প্রণোদনা প্রদান করার কথা বলেন। দ্বিতীয়ত, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ব্রডব্যান্ড বিভাজন এবং প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমাতে ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ সহায়তা করা। তৃতীয়ত, স্বল্পোন্নত দেশগুলো যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, সেগুলো মোকাবেলায় গবেষণা পেশাদার ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। চতুর্থত, সহায়তা হিসেবে তিনি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও ট্রিপস চুক্তির আওতায় ‘এলডিসি ছাড়’ অব্যাহত রাখা। পঞ্চমত, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উদ্ভাবন ও উন্নয়ন উভয়ের জন্য উপযোগী একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি শাসনব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করার কথা বলেন শেখ হাসিনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর