• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী’ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই – প্রধানমন্ত্রী র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি

নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য বিলীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হবে নিত্যপণ্যের উৎপাদক, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের তালিকা। অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই জানা যাবে কোন আমদানিকারক কোন পণ্য কত পরিমাণ আমদানি করেছেন, কত পরিমাণ বাজারজাত করেছেন, কত পরিমাণ পণ্য তার কাছে মজুত আছে।

একইভাবে অ্যাপসের মাধ্যমেই জানা যাবে তালিকায় থাকা কোন পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে কত পরিমাণ পণ্য মজুত আছে বা বাজারজাত করেছেন। সরকার মনে করছে, এর মধ্য দিয়ে বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি সুনিশ্চিত করা যাবে, কেউ অধিক মুনাফার আশায় মজুত করতে পারবে না এবং এই ব্যবস্থায় থাকবে না কোনও মধ্যস্বত্বভোগী।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকার স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। একই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব বিলীন করারও উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, বাজার অস্থির করার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তাদের দৌরাত্ম্যেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। অনৈতিক মুনাফার আশায় সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করে এরা। এতে কষ্ট বাড়ে ভোক্তার, বিব্রত হয় সরকার।

এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় অনলাইন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে সরকার। এই কাজের জন্য নতুন অ্যাপ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ভাউচার সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

অ্যাপের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। সেই লাইসেন্সই নির্দিষ্ট করবে কে পাইকারি ব্যবসায়ী, কে খুচরা ব্যবসায়ী আর কে আমদানিকারক। সরকার উৎপাদক থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করবে। এতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার পরিচয় পরিষ্কার থাকবে। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে কে কোন পণ্যের হোলসেল করবেন, কত পণ্য এলো, কত পণ্য বিক্রি হলো, এগুলোর খোঁজখবর রাখবেন জেলা প্রশাসক।

সূত্র আরও জানায়, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যে অভিযান চালাচ্ছে সরকার, তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজারকে স্থিতিশীল রাখা, কাউকে ভয় দেখানো নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়মিতই বাজারে অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করছে সরকার। এসব অভিযানে অধিক মূল্য, সরবরাহে ত্রুটিসহ নানাবিধ ত্রুটির অভিযোগে মূলত খুচরা ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হয়। ফলে জেল-জরিমানার মুখোমুখি হন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

সরকার মনে করছে, খুচরা বাজারে অভিযান চালানো, জেল-জরিমানা করার মধ্য দিয়ে বাজার স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়। বাজার স্থিতিশীল করতে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার কোনও বিকল্প নেই। কোনও খুচরা ব্যবসায়ী যদি অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে ভাউচার ও মূল্যতালিকা দেখাতে পারে, তাহলেই তিনি বেঁচে যান।

জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রেই সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল ও চিনি সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে বিক্রি হচ্ছে। রমজানে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্যের সরবরাহ আছে। এর মধ্যে ডাল, তেল ও পেঁয়াজ পর্যপ্ত রয়েছে। কোথাও কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট।

তিনি আরও জানান, কৃষি বিপণন অধিদফতর যেসব পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে, এটি নির্ধারিত মূল্য নয়, এটি হচ্ছে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য। উৎপাদন খরচ, পরিবহন খরচসহ বিক্রয়মূল্য কত হতে পারে, তা ঠিক করে দেওয়া। এর সুবিধা হচ্ছে, যারা কৃষিপণ্য বিক্রি করছেন, তারা যাতে বেঞ্চমার্ক প্রাইসিংটা পান। আমরা কেবল এটা শুরু করেছি। ধীরে ধীরে যারা এসব পণ্যের উৎপাদক ও পাইকার, তারা ফুল সাপ্লাই চেইনের শৃঙ্খলার মধ্যে আসবেন, তখন পর্যায়ক্রমে দাম কমে আসবে। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না।

প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সব জায়গা পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ যদি অযৌক্তিক মুনাফা করে, মজুতদারি করে, তারা যদি অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। আমরা সব রকম নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। তবে কিছু লোক আছে, তারা সুযোগ বুঝে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবেই।

তিনি সাংবাদিকসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদের মনিটর করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে সরকারের হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ করার তাগাদা দিয়েছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরেও অভিযোগ করার কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী শুক্কুর ট্রেডার্সের মালিক শফিকুল ইসলাম লাল মিয়া বলেন, আমরাও একটা শৃঙ্খলার মধ্যে ব্যবসা করতে চাই। সরকার যদি বাজার ব্যবস্থাপনায় যেকোনও উপায়ে শৃঙ্খলা আনতে পারে, তাহলে আমরা স্বাগত জানাবো। এ কাজে সহযোগিতাও করবো। আমরা চাই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর