১০৭ বছরের বৃদ্ধা ডালিম খাতুন। বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার চকনিহাল গ্রামে।
৪০ বছর আগে স্বামী জসিম উদ্দিনকে হারিয়ে ৬ সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকাই লড়াই চালিয়ে যান তিনি। জীবনের শেষ পর্যায় এসে বেঁচে থাকার তাগিদে লড়াই করে যাচ্ছেন সে।
বয়সের ভারে নুয়ে পড়েও রান্না করে খান।
রান্না না করলে তার খাওয়া হয়না। জীবনের শেষ সময়ে এসেও জীবন যুদ্ধ থামেনি তার।
বৃদ্ধা ডালিম খাতুনের ২ সন্তান ও ৪ মেয়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছে। কেউ খবর রাখে না বৃদ্ধা মায়ের। এমনকি পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও কোন খোঁজ নেয়নি সন্তানরা।
সরেজমিন দেখা যায়, বয়সের ভারে পিঠ বাকা হয়ে গেছে। ঠিক মত চলাফেরা ও কাজও করতে পারেনা তবুও তাকে রান্নাসহ বিভিন্ন কাজ করেই খেতে হয়।
বৃদ্ধা ডালিম খাতুন জানান,সন্তানরা আমার কোন খোঁজ নেয় না। এমনকি ঈদ গেলো তাও খোজ নেয়নি। নিজে টুকটাক রান্না করি আর প্রতিবেশীরা মাঝে মাঝে খাবার দেয় তাই খাই।
গত মাসে আমার বয়স্ক ভাতার ৩ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। ছেলে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে এসে টাকা নিয়ে গেছে।
১০৭ বছর পার করা ডালিম খাতুনের জীবন যুদ্ধ শেষ হয়নি আজও। এখনো তিনি একা একা রান্না করে খান। জীবনের শেষ পর্যায় এসে বেঁচে থাকার তাগিদে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গরিব ও অসহায় মানুষের জীবন কতটা দুর্বিষহ তার উদাহরণ ডালিম খাতুন।