• মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর বাতিল হচ্ছে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট প্রথা টিসিবির পণ্য আজ থেকে বিক্রি শুরু অর্থনীতির গেম চেঞ্জার মাতারবাড়ী স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশ সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং বদলে যাচ্ছে পাঠদানব্যবস্থা টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার প্রত্নসম্পদের ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সেবা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করুন

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সেবা করে মানুষের হৃদয় জয় করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ নিয়ে চতুর্থবার ক্ষমতায়। আমরা মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। এ দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দিতে চাই। একটি লোকও দরিদ্র, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। একটি লোকও অশিক্ষায়, অন্ধকারে থাকবে না।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদের ৫৯ জন চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা চাইলে জনগণের সেবা দিয়ে মন জয় করতে পারেন। আর যদি চান জনগণের সম্পদ লুট করে চিরদিনের জন্য বিদায় নিতে, তাও পারেন। এটা হলো বাস্তবতা। যেহেতু জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা রেখেছে, আপনারা সেবা দিয়ে জনগণের মন জয় করে দেশের উন্নয়নে আত্মনিবেশ করবেন, এটাই আমি চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তাকে সেটা করতে দেওয়া হয়নি। যদি সেটা করতে পারতেন তাহলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া নয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি আর রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। রিফিউজি হিসেবে থাকি। দেশে আসতে পারিনি। কারণ মোশতাক প্রথমে অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়। জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করে একাধারে সেনাপ্রধান, অপরদিকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়, যাতে তাদের বিচার না হয়। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়। আর আমরা যাতে দেশে আসতে না পারি সেই নির্দেশ দেয়। এমনকি রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি জিয়াউর রহমান। নিষেধ করে দিয়েছিল। ৬ বছর বিদেশে ছিলাম। পরে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। তাদের মুক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসায় জিয়াউর রহমান।

বিএনপি নিজেরাই নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চেয়ারম্যান করে রেখেছে উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা-বাবা, ভাই হত্যার আসামি জিয়াউর রহমান। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দল আবার এত কথা বলে কী করে? বিএনপি ক্ষমতায় এসে আমাদের যত নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে, সেই তুলনায় আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি। খালেদা জিয়া বলেছিল, আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী দূরের কথা, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারব না। এখন কী হলো, ‘আসলে আলস্নাহর মার, দুনিয়ার বার!’

সরকার দেশের সব মানুষের উন্নয়নের ব্যবস্থা করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না। আমরা জনকল্যাণমূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায় সেটা আপনাদের ভাবতে হবে।’

বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তখন আপনার দায়িত্ব সবার জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা।’

বিএনপির নানা কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোকো যখন মারা যায় আমি তখন খালেদা জিয়ার খবর নিতে তার বাসায় গেলাম। কিন্তু তারা আমাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং একজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারা আমাকে অপমান করল। তারা মনের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ পুষে রাখে। কিন্তু আমাদের মনে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ নেই।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দীর্ঘ বক্তৃতা দিলাম। কারণ অনেকদিন পরে পেলাম তো। বন্দিখানায়ই তো ছিলাম করোনার সময়ে। প্রায় দুই-আড়াই বছর ওই ভিডিও কনফারেন্সে বাকসো বন্দি। ২০০৭ সালে ছিলাম আসল জেলে। সেই জেল ছিল ছোট। আর করোনার সময় ছিলাম বড় জেলে। কিন্তু সুবিধা এটুকু অন্তত ?ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই সুবাদে ভিডিও কনফারেন্স করতে পেরেছি। আজকে (সোমবার) একটু মুক্তভাবে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর