• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? সেনা সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব

রংপুর মেডিক্যালে ১০ টাকায় প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা 

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৬৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত শিশু বিকাশকেন্দ্রে চলছে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসা। নামমাত্র ১০ টাকা খরচে এখানে চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের ৯ জেলার ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু। একজন শিশু বিশেষজ্ঞ, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন ফিজিওথেরাপিস্টসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে এ কেন্দ্রে।

প্রতিদিন এই কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসছে অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধী শিশু কিশোর ও যুবক। প্রায় ১২ বছর আগে হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে উপকারভোগীদের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। বর্তমানে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে ১২ হাজারের অধিক শিশু। বিশেষায়িত এ চিকিৎসাকেন্দ্রে উত্তর অঞ্চলের ৯ জেলার শারীরিক ও মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকা, যেমন—দেরিতে ঘাড় শক্ত হওয়া, দেরিতে বসা, দেরিতে কথা বলা, বয়সের সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ না হওয়া, পড়াশোনায় অমনোযোগী, অতিরিক্ত চঞ্চল—এমন অটিস্টিক শিশু- কিশোররা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থেকে ঐ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা এক প্রতিবন্ধী শিশুর মা আসমা আক্তার (২৭) বলেন, আমার সন্তানের বয়স ২৭ মাস চলছে। সে হাঁটতে পারে না। ডাক্তার তাকে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম ও স্টিমুলেশন শিখিয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন নিয়মিত ব্যায়াম করতে। ওষুধপত্রও দিয়েছেন এবং বলেছেন শিশুটি অল্প কয়েক দিনের মধ্যে হাঁটতে শুরু করবে। থেরাপি শেষ হলে তার সন্তান অনেকটা সুস্থ হয়ে যাবে।

বগুড়ার সোনাতলা থেকে এসেছেন সাম্মিয়ারা বেগম তার ১১ মাস বয়সি শিশুকে নিয়ে। তিনি বলেন, আমার শিশুটির ৯ মাস বয়সে জন্ম হয়। শিশুটির ঘাড় শক্ত ছিল না। শিশু বিকাশকেন্দ্রে ছয় সপ্তাহ চিকিত্সার পর সে এখন অনেকটাই সুস্থ। আমি আমার শিশুকে এখানে তৃতীয় বারের মতো চিকিৎসা নিতে নিয়ে এসেছি।

রংপুর শিশুবিকাশ কেন্দ্রের চাইলল্ড হেল্থফিজিসিয়ান আব্দুল্লা আল মাসুদ বলেন, এ কেন্দ্রে আসা প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের সব ইতিহাস রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করি এবং চূড়ান্তভাবে রোগ নির্ণয় করি। প্রয়োজনীয় ব্যায়াম, থেরাপি অথবা সাইকোলেজিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের জন্য পরামর্শ দেই। এ ছাড়াও অন্য কোনো বিভাগের ফিজিক্যাল মেডিসিন, নিউরোমেডিসিন, চোখ, নাক, কান, গলা বা নিউরো সার্জারির প্রয়োজন হলে সেই বিভাগে রেফার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সঠিক ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগীদের ধীরে ধীরে সুস্থ করা সম্ভব।

রংপুর জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই বিশেষ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিজ্ঞজনরা। উত্তর অঞ্চলে অনেক দরিদ্র মানুষ আছে যারা অর্থের অভাবে তাদের প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাদের জন্য এই উদ্যোগ অনেক সুফল বয়ে নিয়ে আসবে বলে মনে করি। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিকাশকেন্দ্রের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আহাদ শাহ বলেছেন, সঠিক ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল হাসানও একই কথা বলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর