• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? সেনা সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৮১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২

আসন্ন বৈশ্বিক মন্দার সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে ভুগছে বাংলাদেশও। মানুষের কথা চিন্তা করে চাহিদা পূরণে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

রবিবার রাতে জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, ‘সামনে কী হতে যাচ্ছে সেটা একটা আশঙ্কার ব্যাপার। উন্নত দেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের তো ভুগতেই হবে। আমি তো বলেছি আমাদের তৈরি থাকতে হবে, যেকোনো অবস্থায়। আমরা তো দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। মানুষ যেন সুস্থ থাকে। ’

এ সময় সরকারপ্রধান তাঁর বক্তব্যে দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি, রিজার্ভ ও বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিসহ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের ওপর একটা চাপ আছে। অবশ্য ঋণপত্র খোলার জন্য যে বাড়তি চাপ তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে যাতে ডলারের চাপ কেটে যায় সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছি। ’

দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে সবাই আলোচনা করে। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন রিজার্ভ পাই ২.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা ক্ষমতায় এসে কিছুটা বাড়িয়েছিলাম, প্রায় চার বিলিয়নের কাছাকাছি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতায় এসে রিজার্ভ পাই ৫.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন কিন্তু রিজার্ভ নিয়ে এত আলোচনা হয়নি। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখে রিজার্ভ ছিল ১৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ দফা ক্ষমতা গ্রহণের সময় রিজার্ভ ছিল ৩২.০৯ বিলিয়ন ডলার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রিজার্ভে আমরা প্রায় ৪৮ বিলিয়নের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। করোনা কমে যাওয়ার পর সব কিছু উন্মুক্ত হওয়ায় আমাদের আমদানি বাড়তে থাকে। ফলে রিজার্ভ কমতে থাকল। গত ৩ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৫.৭২ বিলিয়ন ডলার। আমাদের যে রিজার্ভ আছে সেটা দিয়ে অন্তত পাঁচ মাসের আমদানি করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তিন মাসের আমদানি করার মতো রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। ’

তিনি আরো বলেন, ‘রিজার্ভ গেল কোথায়? শুধু বললে তো হবে না। আমরা বিনা পয়সায় করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছি। এই ভ্যাকসিন কিন্তু ডলার দিয়ে কিনতে হয়েছে। সিরিঞ্জ কিনতে হয়েছে। করোনাকালে চিকিত্সাকর্মীদের আলাদা ভাতা দিয়েছি। ’

সার্বিক বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে বসেছি। সামনে কী হতে যাচ্ছে সেটা একটা আশঙ্কার ব্যাপার। ভবিষ্যতে আমাদের কী করণীয় সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের বিলাসদ্রব্যের আমদানি কমাতে হবে বা এর ওপর আমাদের ট্যাক্স বসাতে হবে বেশি করে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘দামি গাড়ি না চালালে, আঙুর-আপেল না খেলে কী হয়? এখন তো আমাদের দেশীয় ফল প্রচুর আছে। সবাইকে বলব, এই বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। ’

সরকারের ঋণ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয় জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ‘সরকারি ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৬ শতাংশ। বৈদেশিক ঋণ ১৩.৫ শতাংশ। আমরা কোনো দিনই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইনি। আমরা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে যাই। কখনো ডিফল্টার হইনি। ভবিষ্যতেও হব না। ’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তো দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এক কোটি মানুষকে কার্ড দিয়েছি। তাদের ৩০ টাকা কেজিতে চাল দিয়ে যাচ্ছি। তেল, চিনি, ডাল কম মূল্যে সরবরাহ করে যাচ্ছি। ’

অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অর্থনীতিটা ধরে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাইকে বলব, সব কিছুতে কৃচ্ছ্র সাধন করতে হবে। অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ রাখতে হবে। খাদ্য উত্পাদন বাড়াতে হবে, আমদানীকৃত জিনিসের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানি বাড়ানো, কোন দেশে কী পণ্য রপ্তানি করা যায় চেষ্টা করছি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এ জন্য প্রত্যেক ঘরে ঘরে ডেঙ্গুর বিষয়ে সুরক্ষা নিতে হবে। নিজের ঘরে যেন ডেঙ্গু উত্পন্ন না হয়। মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। ’

বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘটের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাস মালিকরা যদি বাস না চালান তাহলে আমরা কী করতে পারি? তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এই যাদের অবস্থা, তাদের কী জনগণ ভোট দেবে? খালেদা জিয়া কেন জেলে? তিনি তো দুর্নীতির দায়ে জেলে। অর্থপাচারে তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। জানি না, বাংলাদেশের মানুষ যদি ভোট দেয় আমার কিছু বলার নেই। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা খাদ্য উত্পাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি; যে কারণে আমি আহ্বান করছি, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখবেন না। ’ তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য রিজার্ভ থাকার পরও বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমদানি করেছে সরকার। রাশিয়া বাধা সরিয়ে নেওয়ায় ইউক্রেন থেকে গম ও তেল আসা শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। দেশে আমন, আউশ ধান সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বোরো উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর