• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? সেনা সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব

মে মাসে ভোলার গ্যাস পাচ্ছে শিল্প খাত

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩

দ্বীপ জেলা ভোলার গ্যাস পাচ্ছে শিল্প খাত। সিএনজিতে রূপান্তর করে এই গ্যাস এনে শিল্পকারখানায় সরবরাহ করা হবে। ইন্ট্রাকো সিএনজি এই কাজ পেতে পারে। প্রতি ঘনমিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হওয়া গ্যাসের বর্ধিত দর অনুসারে শিল্পে প্রতি ঘনমিটারের দাম এখন ৩০ টাকা। আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম পড়ছে ৪৩ টাকা।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রথম পর্যায়ে ইন্ট্রাকোকে ভোলার গ্যাস সিএনজি হিসেবে সরবরাহের কাজ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দিনে ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সিএনজি আকারে আনা হবে। সরকার আপাতত ভালুকা-গাজীপুরের জ্বালানি সংকটে থাকা কারখানায় এই গ্যাস দিতে চায়। এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে চলতি মাসেই  ইন্ট্রাকোর সঙ্গে চুক্তি করবে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ।

ভয়াবহ গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। এমন সংকটে ভোলা ক্ষেত্রের গ্যাস আলোচনায় আসে। এখন উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেক গ্যাস তোলা হচ্ছে। চারটি কোম্পানি সিএনজি আকারে গ্যাস পরিবহনে আগ্রহ প্রকাশ করে। এগুলো হলো– ইন্ট্রাকো সিএনজি দৈনিক ৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি), পার্কার বাংলাদেশ ২৩.৩৪ এমএমসিএফ, হাউলাদার বাংলাদেশ এমএমসিএফ এবং সুপার গ্যাস ৪ এমএমসিএফ গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহনের প্রস্তাব দেয়। বিশেষভাবে রূপান্তরিত ট্রাকে সিলিন্ডারে ভরে (ক্যাসকেড প্রক্রিয়ায়) সড়ক পথে অথবা বার্জে জলপথে নেওয়ার কথা জানায় আগ্রহী কোম্পানিগুলো। জানা গেছে, দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সিএনজিতে পরিণত করে পরিবহনের জন্য ৬০টি কম্প্রেসর এবং ২৩৮টি ক্যাসকেড ট্যাঙ্কার প্রয়োজন।

ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি গত ৩১ অক্টোবর তাদের প্রতিবেদন পেট্রোবাংলায় জমা দেয়। প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে ভোলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৮৬ এমএমসিএফ। ভোলার গ্যাস ক্ষেত্রের দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১২০ এমএমসিএফ। ফলে উদ্বৃত্ত গ্যাসের পরিমাণ বর্তমানে ৩৪ এমএমসিএফ।

ওই প্রতিবেদনে প্রতি ঘনমিটার দাম ৫১.১২ টাকা প্রস্তাব করা হয়। পরে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে প্রতি ঘনমিটারের দাম ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা চূড়ান্ত করা হয়।

জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম সমকালকে বলেন, সিএনজি আকারে ভোলার গ্যাস আনার পরিকল্পনা ভালো উদ্যোগ। অনেক দেশেই এখন এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর পরিবহন সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সিএনজি আকারে গ্যাস পরিবহন খুব ঝুঁকিপূর্ণ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর