• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সচল করতে হবে মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? সেনা সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন ১৭ লাখ কৃষক

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২

আসন্ন রবি মৌসুমে সারা দেশের প্রায় ১৭ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বীজ ও সার বিনামূল্যে সরবরাহ করবে সরকার। গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারির মতো রবি ফসলের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, রবি ফসল চাষে আগে থেকেই বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এ বছর বেশি পরিমাণে সরবরাহ করা হবে। কারণ রবি মৌসুমে যেসব ফসল চাষ হয়, তার সবকটিতে বাংলাদেশের আমদানি নির্ভরতা রয়েছে। সম্প্রতি এসব ফসলের দামও বেড়েছে। এজন্য আমদানি ব্যয়ে কমানো ও স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এ খাতে। পাশাপাশি প্রায় এক লাখ কৃষককে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা এ বিষয়ে বলেন, চাষ ও উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই এসব বীজ ও সার বিতরণ শেষ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬৪ জেলার ১৬ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ কৃষক এ সুবিধা পাবেন। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বীজ বাবদ ব্যয় হবে ৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর সার বাবদ ব্যয় হবে ৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কৃষকদের ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে পরিবহনসহ অন্যান্য কার্যক্রমে।

তেলজাতীয় ফসলের চাষ বাড়ানোর জন্য যেসব নতুন এলাকার চাষিরা এ ধরনের চাষ করবেন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

একজন কৃষক এক বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি করে গমবীজ অথবা ২ কেজি হাইব্রিড ভুট্টাবীজ পাবেন। প্রতি বিঘায় এক কেজি করে সরিষাবীজ, এক কেজি করে সূর্যমুখী হাইব্রিড বীজ, ১০ কেজি করে চীনা বাদাম ও ৮ কেজি করে সয়াবিনবীজ দেওয়া হবে। পেঁয়াজ চাষের জন্য এক কেজি করে শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ দেওয়া হবে। বিঘাপ্রতি ৫ কেজি মসুর ও মুগ এবং ৮ কেজি খেসারিবীজ দেওয়া হবে।  একটি পরিবার এক ধরনের বীজই পাবেন। গম, সরিষা, সূর্যমুখী,

সয়াবিন ও শীতকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রতি ৫ জনের একটি গ্রুপকে ৫০ কেজির এক বস্তা এমওপি ও এক বস্তা ডিএপি সার দেওয়া হবে। অর্থাৎ চাষিরা বিঘাপ্রতি ১০ কেজি করে এমওপি ও ডিএপি সার পাবেন। আর ভুট্টা চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। উপজেলা সদর থেকে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। এসব বীজ বিএডিসি থেকে সংগ্রহ করা হবে। কোনো কারণে বিএডিসি বীজ সরবরাহ করতে না পারলে বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পভুক্ত এসএমই কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা হবে।

সবচেয়ে বেশি বীজ পাবেন দিনাজপুর জেলার কৃষকরা। এই জেলার ৬৫ হাজার ২২০ জন কৃষক এ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, গাইবান্ধা, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ ও শেরপুর জেলার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কৃষক এ সুবিধা পাবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর