• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ ঋণ পাবেন না খেলাপিরা ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের

বাড়ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির দাবদাহ চলছে। এতে সবচেয়ে বেশি পুড়ছে অতিদরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মানুষ আরও দরিদ্র হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি মাথায় রেখে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।

এ লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা এবং তাদের ভাতার পরিমাণ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। অন্যদিকে এ খাতে বিভিন্ন সুবিধার ক্ষেত্রে নানা ধরনের অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ১১ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে, চলতি অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা আরও ২০ লাখ বাড়তে পারে। এ জন্য আগামী অর্থবছরে এ খাতের বরাদ্দ বাড়িয়ে এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে, যেখানে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ আছে এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। অন্যদিকে এ খাতে বিভিন্ন সুবিধার ক্ষেত্রে নানা ধরনের অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আইএমএফ জানায়, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থাকা উচিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। অথচ উপকারভোগী সঠিকভাবে নির্বাচন করা হয় না। তাই অনিয়ম রোধে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি তাদের জন্য কর্মসূচিগুলোর সম্প্রসারণও করা উচিত।

অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়, আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কয়েকটি কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ানো হবে। বৃদ্ধির সংখ্যা হবে ২০ লাখের বেশি। উপকারভোগীরা যাতে সঠিকভাবে নগদ অর্থ পান, সে ব্যাপারে ১ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ। এতে বলা হয়, বর্তমানে অনেক কর্মসূচির ভাতা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে দেওয়া হলেও অনেক সময় উপকারভোগী ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করা হয় না। তাই টাকার অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে কোনো উপকারভোগীর আঙুলের ছাপ নেওয়া না গেলে বা তার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে এ নিয়ম শিথিল করা হতে পারে।

জানা গেছে, আগামী বাজেটে সমাজের পিছিয়ে পড়া নাগরিকরা যাতে উপকারভোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভাতার টাকা যাতে উপকারভোগীরা পান, সেটি নিশ্চিত করা হবে। বর্তমানে ১৩০টি কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১১ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুবিধা দিচ্ছে সরকার।

জানা গেছে, দুর্নীতি, অপচয় ও স্বজনপ্রীতি বন্ধে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সব টাকা উপকারভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিবন্ধিত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে দিতে হবে। ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে তা নিশ্চিত করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর