• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া রেলপথে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, শুরু জুলাই থেকে এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৭৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২

মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৫টি উপজেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

উপজেলাগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ময়মনসিংহের নান্দাইল, বাগেরহাটের রামপাল, পঞ্চগড় সদর উপজেলা এবং মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলা।

মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় গণভবন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। এদিন সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ৫২ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন।

উপজেলাগুলো হলো- ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী। ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোণার মদন, ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া, জামালপুর বকশীগঞ্জ। চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ, ফেনীর ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া, বোদা।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী। নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁ’র রাণীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট, বাঘা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া। পাবনার ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরার মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মোহম্মদপুর, শালিখা, ঝালকাঠির কাঠালিয়া এবং পটুয়াখালীর দশমিনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ২১০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রতিটি পরিবারকে ২.৫ একর করে ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান করে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। এখন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এই ইউনিয়নে কলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫.১৫ একর অবৈধ দখল উদ্ধারকৃত জমিতে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে, ভিক্ষুক, বিধবা ও অসহায় ১৪২৫ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

একইভাবে সারাদেশে ‘আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প’র মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা- ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’

এরই মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৭০ পরিবারকে ভূমি ও সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী সেলের মাধ্যমে ৭ হাজার ৮০৯ পরিবার, ভূমি মন্ত্রণালয় ৭২ হাজার ৪৫২ পরিবার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ২৩৭ পরিবার, বাংলাদেশের গৃহায়ণ তহবিল থেকে ৮৮ হাজার ৭৮৬ পরিবার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৬০৯ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এভাবে সারাদেশে মোট ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৩ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর