• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
উত্তরা থেকে টঙ্গী মেট্রোরেলে হবে নতুন ৫ স্টেশন এমপিও শিক্ষকদের জন্য আসছে আচরণবিধি সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত ২৫ মে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’ পদক নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উঠছে চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাজুর বাবার দাফন সমপন্ন আশা জাগাচ্ছে বায়ুবিদ্যুৎ ডিসেম্বরে ঘুরবে ট্রেনের চাকা মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংক থেকে ঋণ কমাতে চায় সরকার বদলে যাবে হাওরের কৃষি বাংলাদেশে নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প চালু যুক্তরাষ্ট্রের ‘তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’ অস্বস্তি কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মোড় এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা উঠে যাচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা দূর ৫০০ একর খাসজমি বরাদ্দ

বছর শেষে আসছে রূপপুরের বিদ্যুৎ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লাইন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা গেলে চলতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। আর প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে ২০২৫ সালে।

সব ঠিক থাকলে বাণিজ্যিকভাবে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে ২০২৬ সালে। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য দিয়ে জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব কাজ এখন চূড়ান্ত ধাপে এগিয়ে চলছে। রাশিয়ার অর্থায়নে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ তত্ত্বাবধান করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান  বলেন, আমরা এখন বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ২০২৪ সালে আর অপরটি ২০২৬ সালে উৎপাদনে আসবে। গত বছর অক্টোবরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রকল্প চালুর পর পাঁচ থেকে ছয় বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন। প্রকল্পের সঞ্চালন লাইনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কেন্দ্রটির উৎপাদিত বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল সেটিও কেটে যাচ্ছে। এই সঞ্চালন লাইনের স্থলভাগের প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে সঞ্চালন লাইনের নদী পারাপারের কাজ এগিয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। বাকি আছে নদীর ওপর টাওয়ার স্থাপনের কাজ।

ডিসেম্বরের আগেই নদী পারাপারের কাজ শেষ করার জন্য এখন পুরোদমে চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে রূপপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রিড লাইন পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। এই লাইনে পিজিসিবি সফলভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করেছে। এর আগে রূপপুর-বাঘাবাড়ি লাইনের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়। রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. জাহেদুল হাছান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আশা করছি, বছরের শেষ দিকে আমরা কেন্দ্রের ফুয়েল লোডিং শুরু করব। আর এর মধ্য দিয়েই রূপপুর প্রকল্পের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। ফুয়েল লোডিং শেষে পরবর্তীতে পাওয়ার স্টার্ট আপসহ বেশ কিছু ধাপ আছে। এর মধ্যে সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ সাতটি প্যাকেজে চলছে। এর মধ্যে রূপপুর থেকে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত ৬৫ দশমিক ৩১ কিমি. ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতভাগ। আমিনবাজার থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ৫১ কিমি. নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি। রূপপুর থেকে ঢাকা (আমিনবাজার-কালিয়াকৈর) ১৪৭ কিমি. নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৪৪ কিমি.-এর অগ্রগতি ৭০ শতাংশের মতো। ধামরাই পর্যন্ত ১৪৫ কিমি.-এর অগ্রগতি ৬০ শতাংশের কিছু বেশি। বগুড়া পর্যন্ত ১০২ কিমি.-এর অগ্রগতি ৬০ শতাংশের মতো এবং ৯টি বে-এক্সটেনশন নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশের ওপর।

সব মিলিয়ে স্থলভাগের প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে স্থলভাগের সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হলেও রিভার ক্রসিংয়ের কাজের অগ্রগতি অনেকটা পিছিয়ে আছে। এ প্যাকেজে যমুনা ও পদ্মা নদীতে ৪০০ ও ২৩০ কেভির ১৬ কিমি. সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে যমুনা নদীর ওপর সাত কিমি. লাইন নির্মাণ করা হবে। আর পদ্মা নদীতে হবে দুই কিমি. লাইন। প্রথম ইউনিটের জন্য পদ্মা নদীতে রিভার ক্রসিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ২৬ শতাংশ।

সম্প্রতি পিজিসিবির ব্যবস্থাপনার পরিচালক এ কে এম গাউছ মহীউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রূপপুরের সঞ্চালন লাইনের নির্মাণকাজ সময়মতো শেষ করার জন্য প্রতিদিন কেন্দ্রটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। রূপপুর কর্তৃপক্ষের টার্গেট চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে নিয়ে যাওয়ার। আমরা আশা করছি এ সময়ের মধ্যে আমরাও লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।

আমাদের মোট চারটি টাওয়ার। বর্তমানে দুটি টাওয়ারে কাজ চলছে। নদীর মধ্যে যে দুটি টাওয়ার, তার হ্যামার এরই মধ্যে চলে এসেছে। আর দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য আমাদের যমুনা রিভার ক্রসিং হবে। সেখানে আমাদের কাজ চলছে। এর মধ্যে প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইনের কাজের অগ্রগতি ২৬ শতাংশ আর দ্বিতীয় ইউনিটের কাজের অগ্রগতি ২২ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা বিশাল চ্যালেঞ্জের কাজ। এই কাজ করতে গিয়ে অনেকে মামলা করে। তখন কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিদিনই এই কাজে আমাদের বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

জানা যায়, প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য তিনটি লাইন লাগবে। প্রথমটি হচ্ছে ২৩০ কেভি বাঘাবাড়ি থেকে রূপপুর। এটি ২০২২ সালে শেষ হয়েছে। এরপর রূপপুর থেকে বগুড়া ২০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ। আর গোপালগঞ্জ থেকে রূপপুরের সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ বাকি আছে। এটি ১০৫ কিমি.। ওভারল্যান্ডের কাজ বেশির ভাগই শেষ। এখন তিনটি টাওয়ারের কাজ চলমান আছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে ওভারল্যান্ড অংশের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন বাকি থাকবে রিভার ক্রসিংয়ের কাজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর