• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ‘ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় তীব্র তাপদাহে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করলেন যুবলীগ নেতা রাজিব পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি

প্রকল্প পরিদর্শনে ড্রোন ব্যবহার করবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৭০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩

বর্তমানে দেশে চলমান ও সমাপ্ত হওয়া মেগা প্রকল্পের সংখ্যা আটটি। চলমান প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন ও সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পে কোনো ত্রুটি আছে কি না তা যাচাই করতে ড্রোন ব্যবহার করবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। একই সঙ্গে একটি মেগা প্রকল্প বছরে তিনবার পরিদর্শন করতে হবে। চলতি বছরের মার্চ থেকেই কার্যকর হবে এ নির্দেশনা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সম্প্রতি এসব নির্দেশনা দিয়েছে। আইএমইডি জানায়, চলমান ফাস্ট ট্র্যাক (মেগা) প্রকল্পের সংখ্যা আটটি। এগুলো হলো- পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল), পদ্মা বহুমুখী সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্রাক নির্মাণ, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট ও পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প।

আইএমইডি জানায়, চলতি বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুযায়ী তৃতীয় কোয়ার্টারে প্রতিটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প পরিদর্শন সম্পন্ন করতে হবে। মনিটরিং রিপোর্ট পরিবীক্ষণ ও ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের টাস্কফোর্সও পাঠাতে হবে ইআরডি বরাবর। টাস্কফোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে এ সংক্রান্ত আপডেটেড কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। চলমান অনেক প্রকল্পই নিয়ম অনুযায়ী পরিদর্শন করা হয়নি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাকি ছয় মাসে দুটি পরিদর্শন অবশ্যই করতে হবে। বেশিও পরিদর্শন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে মেগা প্রকল্প পরিদর্শনে ড্রোন ব্যবহার করতে হবে।

আইএমইডি জানায়, প্রকল্প পরিদর্শনে ড্রোন ব্যবহার, গাড়ি ব্যবহার ও ল্যাব টেস্ট নিয়ে আলোচনা হয়। পরে প্রকল্পের সঠিক পরিবীক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার ও ল্যাব টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ল্যাব টেস্টের জন্য বরাদ্দ রয়েছে, এটির যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন বলে তাগিদ দেয় আইএমইডি। আইএমইডির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দক্ষতা ও মানোন্নয়নে নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজনের ধারা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।

আইএমইডি নির্দেশনা দিয়ে জানায়, প্রকল্প পরিদর্শনে ড্রোন ব্যবহার ও গাড়ি ব্যবহারের জন্য সেক্টরভিত্তিক রোস্টার তৈরি করতে হবে। প্রকল্পের প্রয়োজনে উপকরণসমূহ ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে পরিবীক্ষণের আবশ্যকতা থাকায় সব সেক্টরে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

ড্রোন ব্যবহার প্রসঙ্গে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘মেগা প্রকল্পে ড্রোন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে অন্য প্রকল্পেও প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। যেমন পদ্মা সেতু খালি চোখে পরিদর্শন অনেক সময় সম্ভব নয়। কিন্তু ড্রোন ব্যবহার করে সব জায়গায় পরিদর্শন সম্ভব।’

‘কিছু প্রকল্প ফিজিক্যালি দেখা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ড্রোন দারুণ ভূমিকা পালন করবে। দেশের উন্নয়নে মেগা প্রকল্প দারুণ ভূমিকা রাখছে। এসব প্রকল্প যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি মেগা প্রকল্প বছরে তিনবার পরিদর্শন করতে হবে। প্রয়োজনে আমিও সরেজমিনে পরিদর্শন করবো।’

২০২২-২৩ অর্থবছরে আইএমইডি লক্ষ্যমাত্রা ৫৮৫টি এবং এপিএতে চলমান প্রকল্প পরিদর্শনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫০টি। সেক্টরগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত চলমান প্রকল্পের প্রতিবেদন জারি করা হয়েছে মাত্র ২৭০টি। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিদর্শন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০২টি। এর মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ২৭০টি। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩২টি কম হয়েছে। যে সব সেক্টরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি এ বিষয়ে সেক্টর প্রধান-মহাপরিচালককে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইএমইডি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর