• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সিভি জমা দিলেন সোহেল রানা এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে মারপিট আ’লীগ নেতা আরাফাতকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন সলঙ্গা থানা যুবলীগের সভাপতি পদে সিভি জমা দিলেন রিয়াদুুল ইসলাম ফরিদ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক

পিরোজপুরে সংগ্রামী সেই মুনিরা পাচ্ছে নৌকা ও পড়ালেখার খরচ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৮৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার হাফসা আকতার মুনিরা শিশু বয়সেই জীবিকার তাগিদে খেয়া পারাপারে জন্য কাঠের বৈঠা তুলে নয় হাতে। প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলে তার জীবন। বাবা মনির হোসেন প্রতিবন্ধী হওয়ায় অল্প বয়েসেই মুনিরাকে সংসারের হাল ধরতে হয়।

মুনিরার জীবন সংগ্রাম নিয়ে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে মুনিরার কঠিন জীবনের গল্প উঠে আসায় তার পা‌শে দাঁড়িয়েছে দেশের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। দেওয়া হচ্ছে জীবন সংগ্রামের সঙ্গী নতুন নৌকা। কঠিন সংগ্রামের মধ্যেও মুনিরা লেখাপড়া ছাড়েনি। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি তার শিক্ষাজীবন চা‌লি‌য়ে নিতে প্র‌য়োজনীয় অর্থও দেবে।

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চরবাসরী গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তার একমাত্র মেয়ে মুনিরা। তাদের বাড়ির পাশেই চিড়াপাড়া খালের খেয়াঘাট। বাবা প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে সংসার চালেতে সেখানেই খেয়া পারাপার করে। মুনিরার দেড় বছর বয়সে তার মা সংসার ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সে বাবা মনির হোসেন এবং ফুফু রোজিনা বেগমের আদর-স্নেহে বড় হয়ে ওঠে।

তবে এত কঠিন সময়ের মধ্যেও পড়ালেখা চালিয়ে গেছে সে। মু‌নিরা এখন কাউখালী আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।

সকালে খেয়া পারাপার শেষে স্কুলে যায় মুনিরা। দুপুরে বাসায় ফিরে সংসারের কাজ করে। এরপর আবার বিকেলে নৌকায় যাত্রী পারাপার করে। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

মুনিরা জানায়, খেয়া পারাপার মেয়েদের কাজ না হলেও করতে হয়। প্রতিবন্ধকতা থাকায় বাবাকে কেউ কাজে নেয় না। অন্য কাজ না জানায় বাবার ভাঙাচোরা নৌকা দিয়ে খেয়া পারাপার করে সংসার চলে। লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করার স্বপ্নের কথাও জানায় সে।

কাউখালী আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, হফসা আকতার মুনিরা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার ভালোই মেধা আছে। সে খেয়া পারাপার করে সংসার চালায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে সহযোগিতা করে আসছে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর