• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

চলনবিলে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৯৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২

মৎস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিলে বিভিন্ন স্থানে অবাধে শামুক নিধন চলছে। এতে ঐতিহাসিক চলনবিল এলাকার জীববৈচিত্র এখন হুমকির মুখে। সেইসাথে জমির উর্বরতা হ্রাসের আশঙ্কা রয়েছে। অথচ অপরিকল্পিত ভাবে এ শামুক নিধন রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত বিলে বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে অবাধে এ শামুক শিকার করা হচ্ছে। তারা দিনরাত নৌকা যোগে জাল দিয়ে ওই বিলে শামুক নিধন করছে।

তাড়াশ উপজেলার দীঘি সগুনা বাজার, হামকুড়িয়া বাজার, মান্নাননগর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের কাছে বস্তা ভর্তি শামুক বিক্রি করা হচ্ছে। তারা কম দামে এ শামুক কিনে বেশি দামে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাঁস ও মাছের খামারে সরবারহ করছে।

প্রতি বস্তা শামুক ব্যবসায়ীদের কাছে ১২০/১২৫ টাকায় বিক্রি করে এবং তারা বিভিন্ন স্থানে হাঁস ও মাছের খামারিদের কাছে প্রতি বস্তা ১৪০/১৪৫ টাকায় বিক্রি করছে। এতে শামুক সংগ্রহকারীরা কিছু আর্থিক লাভবান হলেও বেশি লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। শামুক সংগ্রহকারী অনেকেই বলছেন, বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলে তেমন কোনো কাজকর্ম না থাকায় ওই বিলে নৌকা যোগে মই জাল ও হেসি জাল দিয়ে শামুক সংগ্রহ করে থাকি এবং প্রতি বস্তা শামুক স্থানীয় বাজারে ১২০/১২৫ টাকায় বিক্রি করছি।

শামুক ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার শুরু থেকেই চলনবিলে প্রচুর শামুক পাওয়া যায় এবং এ এলাকার জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিভিন্নভাবে শামুক সংগ্রহ করে। এ শামুক কিনে স্থানীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাঁস ও মাছের খামারিদের কাছে বিক্রি করছি। এদিকে চলনবিলে অপরিকল্পিতভাবে শামুক নিধনের কারনে জীববৈচিত্যের ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ এখন হুমকির মুখে।

সেইসাথে ফসলি জমির উর্বরতাও হ্রাস পেতে পারে। ঐতিহাসিক চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, চলনবিলের সব ধরনের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী একে অন্যের পরিপূরক। এসব প্রাণী বা উদ্ভিদের একটি ক্ষতি হলে অপর একাধিক প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ শামুক নিধনের কারনে চলনবিলের প্রকৃতির ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শামুক নিধন রোধে স্থানীয় প্রসাশনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বর্ষার শেষে দিকে ওই বিলের পানি কমার সাথে সাথে ঝাঁক শামুকের বেশিরভাগ শামুক মারা যায়। এ মরা শামুক মাটিতে মিশে কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু শামুক নিধনরোধে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের দিক নির্দেশনা না থাকলেও এ বিষয়ে দেখা হবে।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম বলেন, চলনবিলে অবাধে শামুক নিধন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর