• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ‘ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় তীব্র তাপদাহে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করলেন যুবলীগ নেতা রাজিব পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি

ইরাক বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশে

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩

তুরস্ক, চীনের মতো প্রচলিত বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে এবার বাংলাদেশকে বাণিজ্য গন্তব্য করতে চাইছে ইরাক। দেশটির নবগঠিত সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ আগ্রহের বিষয়টি বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরাকের যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল ১৯৮১ সালে, সে চুক্তিও নবায়ন করতে চাইছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি বাগদাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ইরাকের এ আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

সূত্র জানান, গত অক্টোবরে ইরাকের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটির সরকারি ও বেসরকারি খাত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ দেখায়। এ লক্ষ্যে ইরাকের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল নিয়ে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী আতহির দাউদ সালমানকে ঢাকা সফরের নিমন্ত্রণ জানিয়ে গত সপ্তাহে চিঠি পাঠান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গত ১৬ জানুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো এ চিঠিটি ১৮ জানুয়ারি ইরাকের বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন বাগদাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারী। এ সময় দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে ইরাকের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে তার সরকারের ইতিবাচক মনোভাব তুলে ধরেন। বাগদাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সালেহ ইমরান বলেন, রাষ্ট্রদূত ঢাকা সফরের নিমন্ত্রণ জানিয়ে পাঠানো চিঠিটি ইরাকের বাণিজ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে ইতিবাচক মতামত দেন। এ সময় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী মার্চে ঢাকায় ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সামিটের সঙ্গে দিনক্ষণ মিলিয়ে ইরাকের মন্ত্রী তাঁর সফরটি সাজাতে পারেন। ইরাকের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্টদূতের এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ১৯৮১ সালে করা বাণিজ্য চুক্তি নবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান প্রথম সচিব।

সূত্র জানান, তৈরি পোশাকে বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক হলেও ইরাকে সরাসরি এ পণ্যটি রপ্তানি হতো না। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে না ওঠায় মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের পোশাক আমদানি করত। পাশাপাশি তারা ইরান ও চীন থেকেও বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। তবে ২০২০ সালে তুরস্ক পোশাকের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। এতে ওই দেশ থেকে ইরাকের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখান থেকেও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না নতুন সরকার। আবার চীন থেকেও পণ্য আমদানিতে প্যারাট্যারিফসহ নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় দেশটির ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আমদানি বাড়াতে বাগদাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সুযোগ লুফে নিয়ে দেশটির ৪০ জন ব্যবসায়ীকে গত নভেম্বরে ঢাকা পাঠায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক পরিসরে পোশাক খাতের ব্র্যান্ডিং করতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত নভেম্বরে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সপ্তাহের আয়োজন করে বিজিএমইএ, যার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পোশাক খাতের ওই ‘মেগা ইভেন্টে’ বিভিন্ন দেশ, কোম্পানি ও ব্র্যান্ডের প্রায় ৭০০ প্রতিনিধি অংশ নেন। বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, ইরাকি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়ানোর আগ্রহটি এত বেশি ছিল যে, ঢাকার এই ইভেন্টের কথা শোনার পর ৪০ জন ব্যবসায়ী সেখানে অংশগ্রহণ করেন। ইভেন্ট শেষে ফিরে আসার পর তাঁদের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক। এখন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরও বেশি যোগাযোগ তৈরি করতে বাংলাদেশের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং ইরাকের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফআইসিসির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে।

দূতাবাসের তথ্যে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্য ১৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার থাকলেও পরের বছরে তা বেড়ে ৫৭ দশমিক ২ মিলিয়নে উন্নীত হয়। এক বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চার গুণ বাড়লেও এতে বাংলাদেশের রপ্তানির তুলনায় আমদানি ছিল অনেক বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ দেশটিতে ৫ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করলেও দেশটি থেকে প্রায় ৫৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি করে যার বেশির ভাগই ছিল পেট্রোলিয়াম পণ্য বিটুমিন ও খাদ্যপণ্য খেজুর। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাগদাদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে পররাষ্ট্র ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তা নেই। এমনকি বাণিজ্য বাড়াতে দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পদটিও নেই। এ কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের সম্ভাবনা থাকলেও দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ না থাকায় রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর