সুনামগঞ্জের আদালতে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সাথে পুলিশ সদস্যদের অসদাচরণের অভিযোগে এএসআই লুৎফুরসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে কোর্টের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন আবু সাঈদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার (৮ আগস্ট) আদালতে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের অসদাচরণের ঘটনায় এএসআই লুৎফর রহমান, পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাক আহমেদ, আব্দুর রহমান ও পিন্টু দাসকে কোর্টের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে এক মামলার জব্দকৃত আলামত উপস্থাপনের সময় পুলিশ কনস্টেবল দৌড়ে এজলাশ ত্যাগ করায় তাকে আটক দেখান আদালত, এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম ও চ্যানেল 24 ও ঢাকা মেইলের সাংবাদিক এ আর জুয়েলকে হেনস্থা করে লুতফুর নামের পুলিশের এক সদস্য মুস্তাক নামের আরেক ই পুলিশ কনস্টেবল যমুনা টিভির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়,এসময় চ্যানেল ২৪ ও ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি তার সহকর্মীর মোবাইল ফেরত চাইল কনস্টেবল লুৎফরসহ পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। এ ঘটনায় আইনজীবীরা প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে কোর্ট পুলিশ সদস্যরা অসদাচরণ করেন সাংবাদিক ও আইনজীবীদে লাঠি নিয়েও মারতে আসেন পুলিশের এক কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য আটকের খবরে আদালত প্রাঙ্গণে কোর্ট পুলিশ সদস্যরা উশৃঙ্খল হয়ে পরেন। এসময় আদালতের দরজায় পুলিশ সদস্য কর্তৃক আঘাৎ করার অভিযোগও উঠে।
ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে আসেন সুনামগঞ্জের সদ্য বিদায়ি পুলিশ সুপার ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ পুলিশের আরও ২ এডিশনাল এসপি, এসপি মিজান। তারা জানান, ঘটনায় জরিত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী ও আদালতের প্রতি উশৃংঙ্খলতা প্রদর্শনকারি কোন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
