সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০২:২৩ অপরাহ্ন

অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব

অনলাইন ডেস্ক
  • সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২
  • ২১২ বার পড়া হয়েছে

সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না মানার অভিযোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত অবমানার অভিযোগের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আগামী ১৯ অক্টোবর তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে।

যে ৫ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন তারা হলেন- কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপ-পরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌরমেয়র মজিবর রহমান।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কক্সবাজার অবৈধ স্থাপনা ‍উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশনা পর সেটা উচ্ছেদও করা হয়েছিল। কিন্তু ইদানিং প্রায় ১শ’র মতো দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার মাস আগে আমরা আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। এরপর দীর্ঘ শুনানির পর বার বার সময় নেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক ওইসব স্থাপনা উচ্ছেদ করেননি। যে কারণে আজকে জেলা প্রশাসকসহ সবার ওপর আদালত অবমাননার অভিযোগে একটা রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আগামী ১৯ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সোমবার এ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

নোটিশে বলা হয় যে, কক্সবাজার সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রাখতে সেখান থেকে সব অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থে এইচআরপিবি আদালতে রিট মামলা দায়ের করলে আদালত রায় দেন। রায়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশনা দেন। জনস্বার্থ বিবেচনা করে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৭ জুন বিবাদিদেরকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও এখনও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কয়েকদিন আগে এইচআরপিবির প্রতিনিধি সমুদ্রসৈকত এলাকায় পর্যবেক্ষণে গেলে সৈকত এলাকায় অনেক অবৈধ দখল ও স্থাপনা দেখতে পান। যদিও এর আগে রায় হওয়ার পরে আদালতের নির্দেশে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই দখল ও স্থাপনা ভাড়া দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা আয় করছে, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যা আদালত অবমাননার সামিল।

নিউজটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর
এই নিউজ পোর্টালের লেখা,ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102