• বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

কনিষ্ঠদের অধীন করা যাবে না জ্যেষ্ঠদের

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৮৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩

চলতি দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ওপরের পদধারী কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না। জ্যেষ্ঠতা, কর্মদক্ষতা ও সন্তোষজনক চাকরির ভিত্তিতে চলতি দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

পদোন্নতিযোগ্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের চলতি দায়িত্ব দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালার প্রজ্ঞাপন গত ১৮ এপ্রিল জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া ছয় মাসের বেশি চলতি বা অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট পদোন্নতি কমিটি বা বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। আগে দুই মাসের বেশি চলতি বা অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট পদোন্নতি কমিটি বা বোর্ডের অনুমোদনের নিয়ম ছিল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পদোন্নতির যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ চলতি দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে। এতে যোগ্য কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ বিষয়ে শতাধিক বঞ্চিত কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন।

এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভেঙে যায়। নষ্ট হয় চেইন অব কমান্ড। এবার চলতি দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ওপরের পদধারী কোনো কর্মচারীকে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীন করা যাবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর অধীন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং বিভিন্ন করপোরেশনের শূন্যপদে চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান নীতিমালা-২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মুহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী চলতি দায়িত্ব দিতে হবে পদোন্নতির যোগ্যতা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের। এরপর কোনো কনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের তাঁদের অধীন করা যাবে না। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এ বিষয়ে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এ ছাড়া চলতি দায়িত্ব বা অতিরিক্ত দায়িত্বের মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হলে সংস্থা বা দপ্তরের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটিকে (ডিপিসি) জানাতে হবে ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩২ বছর আগে সরকার চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কিছু পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকলেই নয়। জনস্বার্থে কিছু পদ শূন্য রাখা যায় না। শুধু সেসব পদে চলতি দায়িত্ব বা অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সরকার বাধ্য হয়ে নিয়ম করে দেয়। নিয়ম করে দিলেও এসব দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সরকার সব সময়ই নিরুৎসাহ করেছে। কিন্তু তার পরও চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব কমেনি। জুনিয়র কর্মকর্তাদের চলতি দায়িত্ব দিয়ে উচ্চ পদে বসানো হচ্ছে। বিশেষ করে যে পদগুলো আর্থিক ও প্রভাব বিস্তারের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেসব পদে পছন্দের কর্মকর্তাদের চলতি দায়িত্ব বা অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে এসব দায়িত্ব নিচ্ছেন। বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তর ইচ্ছা করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে রাখে, যাতে চলতি দায়িত্ব দিয়ে দপ্তর-অধিদপ্তরের নীতিনির্ধারকরা লাভবান হতে পারেন, তেমনি লাভবান হতে পারেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, যাঁকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হবে, তিনি নিজস্ব পূর্ব পদের দায়িত্ব হন্তান্তর করে তাঁর চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত পদে যোগদান করবেন। তবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁর নিজস্ব পদের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন না। এ ছাড়া নিম্ন পদধারীদের মধ্য থেকে কাউকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব না হলে শর্ত সাপেক্ষে নিম্ন পদের এক ধাপ নিচের পদধারীকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে। সন্তোষজক সার্ভিস রেকর্ড না থাকলে, কোনো কর্মকর্তাকে একসঙ্গে একাধিক পদে, বিভাগীয় বা ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না। প্রকল্প থেকে রাজস্ব বাজেটে চাকরি নিয়মিতকৃত না হলে এবং চুক্তিভিত্তিক বা প্রকল্পে কর্মরতদের চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না। সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ওই পদে অন্য কোনো কর্মচারীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না।

পদবি ব্যবহার : চলতি ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলেও পদবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে। যেমন চলতি দায়িত্ব পালনকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত পদবি ব্যবহার করবেন এবং ভারপ্রাপ্ত শব্দটি যোগ করবেন। যেমন—মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)। সংস্থার প্রধান ছাড়া অন্যান্য পদে চলতি দায়িত্ব শব্দ যোগ করবেন। যেমন—উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব)। একইভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের সময়েও পদবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিচয় যুক্ত করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর