• বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

সলঙ্গা গণহত্যা দিবস আজ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ২২৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩

আজ ২৫ এপ্রিল সলঙ্গা গণহত্যা দিবস । সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটে। সিরাজগঞ্জ জেলার সর্ব বৃহৎ এ গণহত্যায় প্রায় ২শ’ জন শহীদের আত্মদানের মধ্যে দিয়েই রচিত হয় একটি শোকবহ কালো দিবস। ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাবনা জেলার কাশিনাথপুর ডাব বাগান নামক স্থানে হানাদার পাকিস্তানী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধে অর্ধশতাধিক পাক হানাদার নিহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পাক হানাদার বাহিনী ২৫ এপ্রিল সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট হতে কাশিনাথ পুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোল চত্বরের অনতিদুরে চড়িয়া শিকার নামক স্থানে রাস্তায় ব্যারিকেডের সম্মুখীন হয়ে যাত্রা বিরতি করে।
তারা সন্ধান পায় চড়িয়া শিকারের পূর্ব দক্ষিন পাশে অন্য একটি কাশিনাথপুর গ্রামের। এই গ্রামকেই পাবনা জেলার কাশিনাথপুর  মনে করে পাক বাহিনী খুজতে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি। তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার আলবদরদের সহযোগিতায় পাক বাহিনী সন্ধান লাভ করে চড়িয়া মধ্যপাড়ায় ডা: শাজাহান আলী, ইয়াকুব আলী ও মোহাম্মাদ আলী সহ অন্যান্যদের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন ঘাটি।
এই ঘাটি তছনছ করে দিতে শুরু হয় পাক বাহিনীর নির্মম গণহত্যা। তারা চড়িয়া শিকার সহ আশ পাশের ৩/৪টি গ্রামের প্রায় আড়াই শত জন মুক্তিপাগল মানুষকে আটকের পর দুই লাইনে সারিবদ্ধ করে মেশিনগানের গুলিতে হত্যা করে। এ গণহত্যায় প্রায় ২ শতাধিক লোক শহীদ হয়।
এদের মধ্যে ৬৩ জনের পরিচয় পাওয়া যায় তারা হলো – চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ডাঃ শাজাহান আলী, ইয়াকুব হোসেন, খলিলুর রহমান, হায়দার আলী, বাহাজ আলী, মেছের আলী, আবু বক্কার, মাহাম আলী, আজিজুল হক, আদম আলী, ইউসুফ আলী, গগন মন্ডল, ছলিম উদ্দিন, ছানোয়ার হোসেন. আবেদ আলী, আবু তাহের, আব্দুল মজিদ, দারোগ আলী, আবু তাঁরা, আব্দুস ছামাদ মাষ্টার, মজিবর রহমান, আসান আলী, শাহজাহান মন্ডল, কাইয়ুম, আব্দুল কাফি, আহসানউল্লাহ, তোছের আলী, আব্দুল মজিদ, আবু তালেব, কালু মিয়া, ফজলুর রহমান ফজল, কালিবাড়ী চড়িয়া গ্রামের সুজাবত আলী, হাবিবর রহমান, আব্দুর রহমান, ছোরহাব আলী, আজগর আলী, গুটু সরকার, মকুল সরকার, গোলকপুর গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিক, আব্বাস আলী মৃধা, কদম আলী, পাটধারী গ্রামের গোলাম হোসেন খোন্দকার, আকদুর আলী খোন্দকার, আব্দুর রাজ্জাক খোন্দকার, আলতাফ হোসেন খোন্দকার, জয়নুল আবেদীন খোন্দকার, ময়দান ফকির, আমজাদ হোসেন তালুকদার, বাসু প্রামানিক, আব্দুস ছামাদ আকন্দ, আব্দুর রশিদ আকন্দ, মোজদার আকন্দ, তাজু আকন্দ, মাহাতাব তালুকদার, খয়রুজ্জামান তালুকদার, আব্দুর কাদের তালুকদার, জোনাব মন্ডল, মুকুল চৌধুরী, ফনি মীর, ননী মীর, তোমেজ খোন্দকার ও নুরুমিস্ত্রী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর