• বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হচ্ছে ঢাকা- টোকিও সম্পর্ক

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ২৫০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্ব পর্যায়ে নিতে চায় বাংলাদেশ ও জাপান। এর ফলে সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগোবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে আগামী মঙ্গলবার তিন দিনের সরকারি সফরে টোকিও যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

সফরকালে দুই দেশের মধ্যে সরকারপ্রধানের বৈঠকের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করবেন শেখ হাসিনা। সফরে মোট ৮ থেকে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশ। এটি হবে শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। এর আগে ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন তিনি।

গত ৩০ নভেম্বর জাপান যাওয়ার কথা ছিল শেখ হাসিনার। তবে সফরটি শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেয় বাংলাদেশ। সর্বশেষ এ সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনীতিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অনু বিভাগের মহাপরিচালক আরিমা ইউতাকা। মূলত দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সফরটি নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এ সফরে উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, তথ্য ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা সংলাপ ও বিনিময়, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। এ ছাড়া জাতিসংঘের পুনর্গঠন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফেরামে সহযোগিতা আরও বাড়াতেও একমত ঢাকা-টোকিও।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত করার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে চীন ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে বাংলাদেশ। আর এ সুযোগ নিতে চায় জাপানও। দেশটি বাংলাদেশের কাছে উন্নতমানের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সামরিক খাতে সম্পর্ক বাড়াতে হলে সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে নিতে হয়। জাপান বাংলাদেশের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে আগ্রহী। ফলে সম্পর্ককে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

তিনি বলেন, জাপান প্রযুক্তিগত সমরাস্ত্রের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের কাছে এর আগে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির প্রস্তাবও দিয়েছে। তাদের সরঞ্জামগুলো মূলত নৌ ও বিমানবাহিনীর জন্য বেশি প্রযোজ্য। প্রধানমন্ত্রীর সফরে অস্ত্র কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও যৌথ বিবৃতিতে তার প্রতিফলন থাকবে। যেমন, তাদের মিৎসুবিশি প্রতিষ্ঠান উন্নতমানের রাডার তৈরি করে। টোকিও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলে ঢাকা তা খতিয়ে দেখবে।

স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে সহজ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে জাপান। দেশটি ২৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছে। দেশটির ঋণে সুদের হার খুবই কম হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে এ ঋণ শোধ করার জন্য কমপক্ষে ৩০ বছরের সময় পাওয়া যায়। আর জাপানের কাজের মান নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রকল্প শেষ করে বাংলাদেশের বিপুল অর্থ বাঁচানোর নজিরও রেখেছে দেশটি। এ সফরে জাপানের কাছ থেকে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা চাওয়া হবে।

এদিকে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফরের জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে।  বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করবে বলে টোকিও আশা করছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ক্রমবিকাশ ঘটছে। বাংলাদেশের অবস্থান মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক অনিবার্যভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।

জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে

২৮ এপ্রিল জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের  সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেখানে যাবেন তিনি। এর পর ওয়াশিংটন থেকে যুক্তরাজ্য যাবেন তিনি। লন্ডনে তিনি রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অভিষেক অনুষ্ঠানের আগের দিন কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের সঙ্গে নৈশভোজে সাক্ষাৎ করবেন চার্লস। আগামী ১০ মে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর