• মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১০৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২

আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের দিন। একটি নারকীয় হামলার ১৮তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অল্পের জন্যে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেদিনের সেই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ আহত হন।

২১ আগস্ট কী ঘটেছিল?

২১ আগস্টের সেই মর্মান্তিক হামলার ঘটনায় আহত হয়ে শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন মো. হারিস মিয়া শেখ সাগর। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (লিয়াকত-বাবু) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

ঘটনার ভয়াবহতার বিবরণ দিয়ে হারিস মিয়া সাগর বলেন, ‘তৎকালীন সরকারের সন্ত্রাস-দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সেদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশের জন্য আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাকে মঞ্চ তৈরি করা হয়। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৫টার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে নেমে তিনি নিরাপত্তাকর্মী ও দলীয় নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত অবস্থায় অস্থায়ী মঞ্চে উঠে আসন গ্রহণ করেন। কিছুক্ষণ পরই তিনি বক্তব্য শুরু করেন। প্রায় ২০ মিনিটের বক্তব্য শেষে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে মাইক ছেড়ে পেছনের দিকে আসতেছিলেন। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই দক্ষিণ দিক থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়। গ্রেনেডটি ট্রাকের বাঁ পাশে পড়ে বিস্ফোরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেখ হাসিনা ট্রাকের ওপর বসে পড়েন। এ সময় মঞ্চে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য নেতারা মানবঢাল তৈরি করে তাঁকে ঘিরে ফেলেন। প্রথম গ্রেনেড হামলার মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রাক লক্ষ্য করে একই দিক থেকে পর পর আরও দুটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।’

হারিস মিয়া আরও বলেন, ‘সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমরা মঞ্চের সামনেই ছিলাম। গ্রেনেডের বিকট আওয়াজে হতবিহ্বল হয়ে পড়ি আমরা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১২ থেকে ১৩টি বিস্ফোরণ ঘটে। অনেককেই তখন জ্ঞানশূন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরিচিত ও দীর্ঘদিনের জানাশোনা এমন কয়েকজনকেও পড়ে থাকতে দেখি। কিন্তু মুখে কোনো শব্দ করার শক্তিও দেহে ছিল না আমার। চারদিকে রক্তাক্ত ও ছিন্নভিন্ন দেহ। চারদিকে শুধু আর্তনাদ ও গোঙানির শব্দ। কে জীবিত আর কে মৃত তা বুঝতে পারছিলাম না। মুখে কোনো শব্দ না করতে পারলেও হাত-পা নাড়তে পারছিলাম। তবে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও শক্তি পাচ্ছিলাম না। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে পড়লে আমাকেও দলের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০টির মতো স্প্লিন্টার বের করলেও এখনো অসহ্য যন্ত্রণা হয়।’

‘মঞ্চের খুব কাছে থাকায় সব কিছুই দেখছিলাম। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ থেমে গেলে গুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) মঞ্চের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মানবঢাল বানিয়ে রক্ষা করেন। কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ থেমে গেলে নেত্রীকে তাঁরা দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে তাঁর গাড়িতে তুলে দেন।’

কর্মসূচি
একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ ২১ আগস্ট রোববার  বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সোয়া দশটায় একই স্থানে আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে উপরোক্ত কর্মসূচিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সারাদেশে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদবিরোধী বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর