• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে শেখ জামালের আজ ৭১তম জন্মদিন নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী

বিলকিস বানুর ১১ ধর্ষককে নিয়ে যা বললেন বিজেপি বিধায়ক

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২

গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে গণধর্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনের সাজা মওকুফ এবং মুক্তির বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বিজেপির এক বিধায়ক। বৃহস্পতিবার তিনি ওই বিষয়ে কথা বলেন।

নিউজ পোর্টাল মোজো স্টোরির সঙ্গে কথা বলার সময় গুজরাটের গোধরার বিজেপি বিধায়ক সিকে রাউলজি বলেন, ‘ওই সকল দোষীরা অপরাধ করেছে কিনা তা তিনি জানেন না। তবে ওই সকল দোষীরা ব্রাহ্মণ এবং তাদের আচরণ ভালো। তাদের শাস্তি দেওয়ার এবং কারাগারে রাখার পিছনে মানুষের বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’

রাউলজির মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ তিনি গোধরা কালেক্টর এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন। তাদের সর্বসম্মতিক্রমে ওই ১১ জন দোষীকে ক্ষমা করার সুপারিশ করা হয়েছিল। গুজরাটের কালোলের বিজেপি বিধায়ক সুমনবেন চৌহানও একই কমিটির অংশ ছিলেন যারা দোষীদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল।

এ সময় গুজরাট সরকার উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করে এবং দোষীদের ক্ষমা করে (শাস্তি শেষ হওয়ার আগে) অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দেয়।

বিলকিস বানুকে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত এ সকল অভিযুক্তকে মুক্তির পর মিষ্টি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) কর্তৃক তাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) একটি বিশেষ আদালত ২০০২ সালে দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও তার পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্টে এ রায় বহাল থাকে। দণ্ডিত ব্যক্তিরা ১৫ বছরের বেশি কারাভোগ করেন। এরপর তাদের একজন সাজা শেষ হওয়ার আগেই কারামুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সম্প্রতি তাদের এক জন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পেয়েই একটি কমিটি গঠন করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। সোমবার সুজল বলেন বলেন, ‘ওই কমিটি ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করেছিল। তারই ভিত্তিতে গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে তাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।’

কয়েক মাস আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে দোষী সাব্যস্ত বন্দীদের সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য একটি বিশেষ ‘মুক্তি নীতি’ কার্যকর করা হবে। কিন্তু ওই নীতিতে ধর্ষণের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া যাবে না বলেও তারা জানিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।

সূত্র : দ্যা কুইন্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর