• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল: বিআরটিএ চেয়ারম্যান গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল: ইসি রাশেদা ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে শেখ জামালের আজ ৭১তম জন্মদিন নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী

ক্ষতিপূরণ পেল বাংলার সমৃদ্ধি

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ ধরনের বীমা দাবি প্রথমবার নিষ্পত্তি শুরু করেছে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের বীমাকারী সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) পর্ষদে অনুমোদনের পর পুনঃবীমাকারী প্রতিষ্ঠান ইংল্যান্ডের লয়েডস অব লন্ডন ইন্স্যুরার বিজলি এবং টাইজার ইন্স্যুরেন্স ব্রোকারস লিমিটেডের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ২ মার্চ ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করা বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটিতে রকেট হামলা হলে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর জাহাজটি ঘটনাস্থলেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এবং নাবিকসহ সব সদস্যকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যুদ্ধ চলমান থাকায় বিদেশি জাহাজের জন্য কোনো নিরাপদ পথের নিশ্চয়তা দেয়নি রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ। ফলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত জাহাজটি এখনো অলভিয়া বন্দর এলাকাতেই রয়ে গেছে। জাহাজটি ওই এলাকা থেকে বের করে আনা যায়নি।

ঘটনার ১২ মাস পার হয়ে গেছে। তাই বীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বীমা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাহাজটির মোট ক্ষতি নির্ধারণ ও বিক্রি করে দিয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে বীমা দাবির অর্থ প্রদান করেছে। সাধারণ বীমা করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজটি নির্মাণের মোট ক্ষতি ঘোষণার পর মার্শাল আইল্যান্ডের স্টর্ক শিপিং কোম্পানির কাছে ১২ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে বিক্রি করা হয়েছে। এই অর্থের মধ্যে সাধারণ বীমা করপোরেশন পেয়েছে ৩৩ হাজার ৭৪৭ ডলার এবং বাকি ১২ লাখ ৪১ হাজার ডলার পেয়েছে পুনঃবীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। পুনঃবীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিপূরণের ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সাধারণ বীমা করপোরেশন ২ দশমিক ৫ শতাংশ দায় পরিশোধ করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গত সোমবার আমরা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে বীমা দাবির মোট ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছি। তিনি আরও বলেন, এই অর্থ আমরা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছি।

এর আগে সাধারণ বীমা করপোরেশন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিকদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রত্যাবাসনের জন্য ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩০ ডলারের দাবি নিষ্পত্তি করেছে। এই অর্থের মধ্যে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মৃত্যু দাবিও রয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে, ওই সময়ে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় ইংল্যান্ডের পুনঃবীমা প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষ্ণসাগরকে জাহাজ চলাচলের জন্য একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করেছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ৬০টিরও বেশি জাহাজ ইউক্রেনের জলসীমায় আটকা পড়েছিল এবং এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর এখন বীমা দাবিকারীরা কোটি কোটি ডলারের দাবি পেতে শুরু করেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ৩৮ হাজার ৮৯৬ ডেড ওয়েট টনের ধারণ ক্ষমতার জাহাজটি চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে কিনেছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর