• রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

শুরু হচ্ছে ডিজিটাল মেলার মহাযজ্ঞ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৭২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩

সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে গত বছর বাতিল করা হয় ১৭টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক আয়োজন। বাতিল হয়ে যাওয়া মেলা ও প্রদর্শনীগুলো সংগঠন ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আগামী ২ মাসে দেশে অন্তত ৩টি বড় ধরনের প্রদর্শনী ও মেলা বসতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। দেশের মানুষের সক্ষমতা, উদ্যোগ এবং আমরাই পারি- মেলার মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, ইনোভেশন এক্সপো, ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা, বেসিস সফট এক্সপো ও বিপিও সামিট দেশের সিগনেচার ইভেন্ট। প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন। গত বছরের এক ঘোষণায় আয়োজনগুলো বাতিল করা হয়। বলা হয়, সংকট কেটে গেলে এগুলোর আসর আবার বসবে। কিন্তু সেই অপেক্ষা করতে রাজি নয় সংগঠনগুলো। সংগঠনের উদ্যোগে, সরকারের সহযোগিতা নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরে দেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ডিজিটাল মেলার মহাযজ্ঞ। ফলে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস এ দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জন্য বিশেষ মাস বলে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিবেচিত হচ্ছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা

আগামী ২৬-২৮ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা। মেলার আয়োজক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। ২৬ জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উপস্থিত থাকবেন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক, মহাসচিব নাজমুল করিম ভুঞা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা কী কী ভ্যালু অ্যাড করে তা প্রদর্শন করবে। মেলায় থাকবে মুজিব কর্নার। থাকবে ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) জোন। মোবাইল ফোন অপারেটররা মেলায় ফাইভ-জি লাইভ দেখাবে বলে জানা গেছে।

মেলায় মূল ইভেন্ট হিসেবে থাকবে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) জোন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আইওটি জোনের বিভিন্ন স্টলে বসবে। আইওটি খাতে নতুন কী ইনোভেশন আছে শিক্ষার্থীরা তা দেখাবে।

সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, মেলায় সব মিলিয়ে ৮টি সেমিনার ও কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। মেলার প্রথম দিন ২টি, দ্বিতীয় দিন ৪টি এবং শেষ দিনে ২টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিদিনই মেলায় দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে থাকবে কনসার্টের আয়োজন। তিনি জানান, সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির কারণে বেসরকারি স্পন্সরদের সহযোগিতায় এবারের মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

বেসিসের সফটওয়্যার মেলা

দেশের সফটওয়্যার ও সেবা পণ্যের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বেসিসের বার্ষিক সিগনেচার ইভেন্ট বা বছরের সবচেয়ে বড় আয়োজন বেসিস সফট এক্সপো এবার আরও বড় পরিসরে করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। রাজধানীর পূর্বাচলে যেখানে বাণিজ্য মেলা হচ্ছে সেখানেই বসবে সফটওয়্যার মেলা। ২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ লোকাল মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স বলে জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ। তিনি জানান, প্রথমত মেলার জায়গাটি অনেক বড়, দ্বিতীয়ত থাকবে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অ্যাম্বাসেডর নাইট, সিএক্সও নাইট। এছাড়া মেলায় সেমিনার, পণ্য প্রদর্শন এসব আয়োজন তো থাকবেই। রাসেল টি আহমেদ বলেন, পুরো নিজেদের জন্যই এই আয়োজন। নিজেদের সক্ষমতা, নিজেরা কী পারি, নিজের নতুন পণ্য এসব বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যায় বেসিস সফট এক্সপোর মাধ্যমে।

বিপিও সামিট

গত বছর সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে ১৭টি অনুষ্ঠানের সঙ্গে বাতিল হয়ে যায় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং—বিপিও সামিট। দেশের এই খাতের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাক্কোর (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং) উদ্যোগে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সহযোগিতা করার ছিল সরকারের আইসিটি বিভাগের। বাক্কো কর্তৃপক্ষ নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছে সামিট আয়োজনের। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সব পক্ষকে নিয়ে এটা আয়োজনের। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সামিট আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আয়োজকরা। সংগঠনের মহাসচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা এই সামিট আয়োজনের জন্য দেশ-বিদেশের স্টেকহোল্ডার, বক্তাসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তাদের দাওয়াত দিয়েছি। ফলে আমাদের মনে হয়েছে এই সামিটটা হওয়া প্রয়োজন। সরকারের অনুমোদন পেলে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে এটা আয়োজন করতে। এই সময়ের মধ্যে করা না গেলে আগামী আগস্টের আগে তা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তখন অনেক কারিগরি সমস্যার মধ্যে পড়বো।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিপিও সামিট। দ্বিতীয় বিপিও সামিট অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালে, তৃতীয় সামিট ২০১৮ সালে। চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর