• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ ঋণ পাবেন না খেলাপিরা ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের

রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৩৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্সের অর্থ ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় নিয়ে যেতে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করে ক্যাশলেস পদ্ধতির দিকে যাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

২০৩১ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ রাজস্ব সংগ্রহের অর্থ ক্যাশলেস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ আগামী ১৭ বছরের মধ্যে শতভাগ ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যেতে চায় এনবিআর। এতে তাত্ক্ষণিক অর্থ জমা হওয়া ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।

গত বুধবার এনবিআরের পক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এনবিআরের বোর্ড প্রশাসন বিভাগের সদস্য মোহাম্মাদ মফিজুর রহমান এবং বোর্ড প্রশাসন-১-এর দ্বিতীয় সচিব সুচিন্তা রানী সরকার স্বাক্ষরিত একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়।

এনবিআর প্রকাশিত সাত দফা কর্মপরিকল্পনায় দেখা যায়, আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে এসব বাস্তবায়ন করা হবে।

কর্মপরিকল্পনাগুলোর মধ্যে করদাতাদের ক্যাশলেস পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া একটি। বাকিগুলো হলো : এনবিআরে বিদ্যমান সব সিস্টেমের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের সিস্টেমের আন্ত সংযোগ স্থাপন করা।

এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বিআরটিএ, এনটিএমসি, বিডাম বেপজা, বেজা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইবাস, বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক, সিটি করপোরেশন, ভূমি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, সিসিআইঅ্যান্ডই।

এছাড়া উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউটর ও পাইকারি বিক্রি পর্যায়ের, ই-ইনভয়েসিং সিস্টেম চালু করা; টিআরপি সিস্টেম প্রস্তুতকরণের মাধ্যমে কার্যকর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা; রাজস্ববিষয়ক মামলার কার্যক্রম নিষ্পত্তির জন্য ডাটাবেইস তৈরি করা; এনবিআর ও এর আওতাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রযুক্তি-পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং ট্রেনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রস্তুত করা; স্মার্ট কনটেন্ট প্রস্তুত ও ৩৬০ ডিগ্রি প্রচার কৌশল নেওয়া।

২০২৫ সালের মধ্যে এসব পরিকল্পনার পাঁচটি ২৫ শতাংশ, একটি ৫০ শতাংশ ও আরেকটি ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ২০৩১ সালের মধ্যে চারটি পরিকল্পনার ৫০ শতাংশ, দুটির ৭৫ শতাংশ এবং একটি শতভাগ বাস্তবায়ন কর হবে।

আর সাতটি পরিকল্পনা শতভাগ শেষ করতে সময় নেওয়া হবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত।

এনবিআর জানিয়েছে, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আয়কর, মূসক, আমদানি-রপ্তানি ও আবগারি শুল্ক আহরণের কার্যক্রম প্রযুক্তিনির্ভর, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ভ্যাট আহরণ-ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হবে, রাজস্ব আহরণ প্রসারিত হবে, রাজস্ববিষয়ক মামলায় প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে, এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে, রাজস্ব আহরণে ক্যাশলেস, উদ্যোক্তামুখী, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বিনির্মাণে জনমানুষের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।

এসব কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪টি এ রকম নতুন নামে-শিরোনামে প্রকল্প ও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এনবিআর সেই আগের মতোই আছে।

এগুলো নতুন না। এগুলো আইওয়াশ। যারা এনবিআরের সংস্কার করবে ও যাদের জন্য করবে তারা কেউই চায় না সংস্কার করা হোক। এনবিআরের সংস্কার তৃতীয় পক্ষ বা রাষ্ট্রকে করতে হবে, চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, তাহলেই এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর