• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সেনা সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া রেলপথে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, শুরু জুলাই থেকে এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা

সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকা শিলা রানী দাস

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৭৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২

তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাকে সামলাতে হয় নানা দাপ্তরিক কাজ। নিয়মিত দিতে হয় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। আবার নানা কাজে উপজেলা সদরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসেও তাকে প্রায়ই যেতে হয়। এতো গেল রুটিন কাজ।

তারপর প্রতিদিন নিদিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষাার্থীদের সাথে করে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ও ওয়াসরুম পরিষ্কার করেন। বিদ্যালয়ের বারান্দায় রাখা ফুলের টবগুলোতে পানি দেন ও পরিচর্যা করেন। পাশাপাশি দুপুরে খাবারের পর নিজেই নিজের খাবার পাত্র ধুয়ে ফেলেন।

তিনি হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিলা রানী দাস।

যিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সহকর্মী শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছে একজন আদর্শ শিক্ষক। পাশাপাশি মমতায় ভরা প্রিয় মুখ ও স্বজন হিসেবে পরিচিত। এমনটি বলছিলেন, পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি মো, ফরিদুল ইসলাম।

মুলতঃ শি-শিষ্টাচার, ক্ষ-ক্ষমাশীল, ক-কর্তব্য পরায়ন – এই তিনটি গুনের সমন্বয়েই হয় একজন আদর্শ শিক্ষক। আর সে গুন ছাঁপিয়ে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার এক হাজার ৬৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকা নির্বাচিত হয়েছেন তাড়াশ উপজেলার পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিলা রানী দাস।

শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক শিলা রানী দাস তার কর্মক্ষেত্র অজপাড়াগাঁয়ের এই বিদ্যালয়ে পাঠদানে এনেছেন নতুনত্ব। সেখানে শতভাগ ডিজিটাল পাঠদান পদ্ধতি, পাঠদানে উপকরণের ব্যবহার এমনকি শিক্ষার্থীদের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার শেখানে হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি (এসএমসি) সক্রিয় করা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাচ, গান, খেলাধুলায় পারদর্শী করার ক্ষেত্রেও তার অবদান রয়েছে বলে জানান তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো, আকতারুজ্জামান।

তিনি আরো যোগ করেন, তরুণ এই প্রধান শিক্ষক শতভাগ পেশাদার। আর পেশাাদারিত্বে ও শিলা রানী দাস তার সকল কর্মক্ষেত্রেই ধারাবাহিক ভাবে সফল হয়ে আসছেন।

পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, রুবায়াত খাতুন, মমিতা পারভীন তাদের প্রধান শিক্ষক শিলা রানী দাস সম্পর্কে জানায়, তাদের শিক্ষক সুন্দর করে পড়ায়, সবাইকে ভালবাসে, আদর করে নাচ, গান শেখায়। ঠিক যেন আমাদের মায়ের মতো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ৪১ বছর বয়সি শিলা রানী দাস বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তিনি ২০০১ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায দক্ষতার সাথে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭, ২০২২ সালে তাড়াশ উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। আবার ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও দুইবার সিরাজগঞ্জ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকা নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর তারই পুরস্কার হিসেবে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রীয় খরচে ভারতের দিল্লিতে পাঁচ দিনের শিক্ষা সফরও করেন তিনি।

শিলা রানী দাস ২০১৮ সালে প্রধান শিক্ষক (চলতি দাযিত্ব) হিসেবে উপজেলার পলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। আর নানাদিক থেকে পিছিয়ে থাকা ওই বিদ্যালযটি পাঁচজন সহকর্মী সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে অল্প সময়ে শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল পাঠদান, পাঠদানে উপকরণের ব্যবহার এমনকি শিক্ষার্থীদের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার শেখানোর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আলোর পাদপিঠে নিয়ে আসেন।

আর এরপরই গত ২৫ সেপ্টেম্বর জেলা পর্যায়ে ২০২২ শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকা ক্যাটাগরিতে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকা নির্বাচিত হন।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীর ডিজিটাল পাঠদানে তার দক্ষতা জেলার অনান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। পাশাপাশি বিদ্যালয় পরিচালনায় শিলা রানীর সাবলীল আচরণ সকল শিক্ষদের মধ্যেই থাকার প্রয়োজন আছে। আমি ওনার সফলতা কামনা করি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর