• বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

ডলারে আমানত রাখলেই করমুক্তি সুবিধা

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

দেশে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে বিদেশি আমানতকারী ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্ত সুবিধা দিতে একটি অধ্যাদেশ করতে যাচ্ছে সরকার, যে অধ্যাদেশ জারি হলে আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া সুদ বা লাভের ওপর কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ করারোপ করা হবে না।

শুধু তাই নয়, দেশের কোনো ব্যাংক, তার কোনো ইউনিটের মাধ্যমে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করলে, ওই ইউনিটের অর্জিত সুদ বা মুনাফা বা লাভের ওপর আয়কর বা অন্য কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর আরোপ করা হবে না। এরই মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং অধ্যাদেশ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খসড়াটি মতামতের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সূত্রগুলো জানায়, দেশে অফশোর ব্যাংকিং পরিচালনায় একটি নীতিমালা রয়েছে।

এরপরও এই বিশেষ অধ্যাদেশটি জারির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে- যাতে করে বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ডলারে ঋণ দিতে আগ্রহী হয়। শুধু তাই নয়, প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে তাদের আমানতসহ মুনাফার অর্থ বিনা বাধায় ফিরিয়ে নিতে পারে, সে লক্ষ্যে সব ধরনের করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণ করা হয়েছে যাতে করে দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ডলার সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনায় সুবিধা নিতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অফশোর ব্যাংকিং নিয়ে একটি নীতিমালা থাকার পরও আমরা একটি অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছি। এর ফলে বিদেশি ঋণদাতা ও আমানতকারীদের আস্থা বাড়বে। তারা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনায় উৎসাহী হবেন। বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানত দিলে দেশে ডলার সরবরাহ বাড়বে। এর ফলে উপকৃত হবে দেশের শিল্প বিনিয়োগ খাত।

প্রচলিতভাবে যখন কোনো ব্যাংক বিদেশি উৎস থেকে (ডলার) আমানত বা তহবিল সংগ্রহ করে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা গ্রাহকদের ঋণ দেয় তখন তাকে অফশোর ব্যাংকিং বলে। অর্থের উৎস এবং ঋণগ্রহণকারী উভয়ই বিদেশি বলে দেশের প্রচলিত আইন-কানুন এতে কাজ করে না। অর্থাৎ, অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের অভ্যন্তরে আলাদা একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা। কোনো ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিং করতে চাইলে তাকে পৃথক ইউনিট খুলতে হয়। অফশোর ইউনিটের ব্যবসায়ের পুরোটাই হয়ে থাকে বৈদেশিক মুদ্রায়। ব্যাংকের প্রচলিত কোনো নিয়ম বা নীতিমালা অফশোর ব্যাংকিংয়ে প্রয়োগ হয় না। কেবল মুনাফা ও লোকসানের হিসাব যোগ হয় ব্যাংকের মূল হিসাবে। তবে অফশোর ব্যাংকিংয়ের প্রচলিত এই কাঠামোর বাইরে বিশেষ সুবিধা যুক্ত করে এই কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

অফশোর ব্যাংকিং অধ্যাদেশে থাকছে যে সুবিধা : (১) ইপিজেড, পিইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্কের শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় আমানত রাখতে পারবে; পাশাপাশি শর্টটার্ম লোন, আগাম ও বিনিয়োগ, বিল ডিসকাউন্টিং, বিল নেগোশিয়েটিং, ঋণপত্র খোলা ছাড়াও গ্যারান্টি ইস্যু করতে পারবে; (২) অনিবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে শুধু অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট আমানত সংগ্রহ করতে পারবে; (৩) শতভাগ বিদেশি ব্যতীত অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ফান্ডেড ও ননফান্ডেড ঋণ বা আগাম বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে; (৪) ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমে বাংলাদেশের আমদানি, সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে ইউজেন্স বা ডেফার্ড রপ্তানি বিল ডিসকাউন্ট বা কিনতে পারবে; (৫) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ঋণ বা আগাম মঞ্জুর ও বিনিয়োগ করতে পারবে।

বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আমানত রাখার সুবিধা : খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে যে কোনো অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলা যাবে; হিসাবে শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের অর্থ জমা হবে; কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব হিসাবের বিপরীতে সময় সময় সুদ ও মুনাফা দেওয়া হবে; এই অর্থ বা মুনাফা প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্থানান্তর করা যাবে; প্রয়োজন অনুযায়ী সুদ বা আমানতসহ সুদ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী অনুকূলে বিদেশেও পাঠাতে পারবে; অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের আমানতকারী, বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিটের অর্জিত সুদ সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করমুক্ত হবে।

শৃঙ্খলা ও আর্থিক নিরাপত্তা দায় : দেশের রীতিনীতি প্রযোজ্য না হওয়ায় কোন কোন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংয়ের নামে অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধ্যাদেশে বেশ কিছু নিয়ম মানার বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে। এগুলো হলো : কোনো ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম ইউনিট কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হবে; অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য নিরাপত্তা সঞ্চিতি (সিআরআর) রাখতে হবে; শরিয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকও অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে পারবে; অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের কোনো কর্মকর্তা এই অধ্যাদেশের কোনো বিধান নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরিতে বিলম্ব বা অবহেলা করলে ৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা ছাড়াও কোনো ব্যক্তি এই অধ্যাদেশের আওতায় যে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর