• বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

এবার হলফনামায় চোখ দুদকের

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪

সদ্যসমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণী খতিয়ে দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদ উল্লেখ থাকা শতাধিক প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত উভয় ধরনের প্রার্থীই রয়েছেন। তাদের হলফনামার হিসাব অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মনে হয়েছে কমিশনের কাছে।

দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রার্থীদের, বিশেষ করে বর্তমান সংসদের এমপি ও মন্ত্রীদের সম্পদ বিবরণীর খবর সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। তবে এ নিয়ে দুদক এতদিন নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক বিশিষ্টজন।

দুদক সূত্র জানায়, প্রার্থীদের রহস্যজনকভাবে সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য অনুসন্ধান করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, কারও সম্পদ বেড়েছে কয়েকশ গুণ পর্যন্ত। এটি অস্বাভাবিক।

অনুসন্ধানকালে তাদের সম্পদ বৃদ্ধির উৎস জানতে চাওয়া হবে। এর আগেও দুদক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করেছে। ওই সময় অনুসন্ধান শেষে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছিল।

দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সমকালকে বলেন, কারও সম্পদ অনুসন্ধান করা দুদকের চলমান বিষয়। কারও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান করা হয় কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। হলফনামার সম্পদের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই, অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

জানা গেছে, হলফনামায় স্থাবর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ব্যবসা, শিল্প-প্রতিষ্ঠান, কৃষি খাত, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, জমি, প্লট, গাড়ি, বাড়িসহ নানা অস্থাবর সম্পদ উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সব সম্পদ সংশ্লিষ্টরা কীভাবে অর্জন করেছেন, তার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে।

অনুসন্ধানে দেশে-বিদেশে কেউ সম্পদ গোপন করে থাকলে তাও খুঁজে বের করা হবে। অনুসন্ধানে যাদের সম্পদ বৈধভাবে অর্জিত বলে প্রমাণিত হবে, তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে। আর যাদের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জিত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

দুদক সূত্র জানায়, নির্বাচিত এমপি ও পরাজিতদের হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তাদের পোষ্যদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হবে। হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের আয়কর নথিও যাচাই করা হবে। হলফনামা ও আয়কর নথির তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। তাদের ব্যাংক হিসাবও যাচাই করা হবে। কেউ হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন কিনা, তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

আইন অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, ব্যবসা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, শেয়ার সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত, পেশা ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করতে হয়।

নিজের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমানো অর্থ, বন্ড, ঋণপত্র, শেয়ার, পোস্টাল, সঞ্চয়পত্র, বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, স্বর্ণ, মূল্যবান ধাতু ও পাথরে নির্মিত অলংকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সম্পদ উল্লেখ করতে হয়।

স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষি, অকৃষিজমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক পাকা ভবন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস্য খামারসহ অন্যান্য সম্পদের তথ্য উল্লেখ করার বিধান রয়েছে।

নিজে ও পরিবারের সদস্যরা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান, পরিচালক অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকলে সেটাও উল্লেখ করতে হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের তথ্য ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উল্লেখ করতে হয়। প্রতিটি হলফনামা এফিডেভিট, নোটারি পাবলিক ও ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা প্রত্যয়ন করতে হয়। প্রথমবার ঘোষণা দেওয়া তথ্য পরিবর্তন করা যায় না; কোনোরূপ ঘষামাজা করা যায় না। হলফনামায় কোনোভাবেই অসত্য তথ্য উল্লেখ করা যায় না।

হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে প্রার্থিতা বাতিল কিংবা নির্বাচনের পরে বিজয়ী এমপিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর