• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ভারতের পেঁয়াজ ঋণ পাবেন না খেলাপিরা ১৫ শতাংশ কর দিলে কালোটাকা সাদা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগী বাড়ছে অসহনীয় মামলা জটে বিচার বিভাগ ন্যুব্জ: প্রধান বিচারপতি বদলাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞা প্রস্তাবে যুক্ত তৃতীয় লিঙ্গ আনন্দের ঢেউ কর্ণফুলীতে ভারতের নির্বাচনের পর ভিসা সহজ করা নিয়ে আলোচনা সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের

শাহ আলী জয় :

সলঙ্গায় শিশু কন্যা হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ২৩৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় শিশু কন্যা রাইয়া খাতুন হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাবা মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এই কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চৌবিলা পশ্চিমপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবুন্নেছা (জেবা রহমান) এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু নিজেই তার শিশু সন্তানকে হত্যা করেছেন। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চৌবিলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে মনিরুল ইসলাম রঞ্জুর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজনীন নাহারের ২০২০ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এর মধ্যে নাজনীন নাহার একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। পারিবারিক বিরোধের কারণে নাজনীন নাহার তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ২০২২ সালের ২৭ মার্চ নাজনীন নাহার তার গ্রামের বাড়ি উল্লাপাড়ায় বেড়াতে আসেন। নাজনীনের খবর পেয়ে ২৯ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু আত্নীয় স্বজন নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন এবং শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সমঝোতা করে তার স্ত্রী নাজনীন নাহার ও দেড় বছরের শিশু কন্যা সন্তান রাইয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে সলঙ্গায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পারিবারি বিরোধের জেরে ৩০ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার শিশু কন্যা মাটিতে আছড়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শিশু রাইয়া খাতুনের নানা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে সলঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব সদস্যরা। পরে মনিরুল ইসলাম রঞ্জু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্ত শেষে মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালতের বিচারক মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর