• শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

সিরাজগঞ্জে বাবার স্বপ্নপূরণে পালকিতে চড়ে বিয়ে

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১০২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

“পালকি” গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী বাহন। রাজ-বাদশাহর আমলে রানি কিংবা রাজকন্যাদের বাহন ছিল পালকি।

এরপর জমিদারসহ সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলোর নারীরা পালকিতেই যাতায়াত করতেন। পরে গ্রাম বাংলার বিয়ে, সুন্নতে খাৎনাসহ বিভিন্ন উৎসবে এ বাহন ব্যবহার করা হতো।

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই পালকি। এখন শিশু-কিশোরদের ছড়া-কবিতার বই ছাড়া পালকির কথা কোথাও শোনা যায় না।

দীর্ঘদিন পর হারিয়ে যেতে বসা পালকিতে চড়ে বিয়ে করলেন সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী চর ব্রাহ্মনগাঁতী গ্রামের যুবক সবুজ ইসলাম। বাবা শফিকুল ইসলামের স্বপ্ন পূরণে চার বেহারার পালকিতে চড়েই বিয়ে করতে গেলেন তিনি। বিষয়টি এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সোমবার  সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবার্টী ইউনিয়নের চর মিরাখোর গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের মেয়ে জলি খাতুনকে বিয়ে করেছেন সবুজ ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে বর পালকিতে চড়ে এসেছেন। এতে এলাকাবাসীও অবাক হয়েছে। ছেলে-বুড়োরা পালকি দেখতে ভিড় করেন। পালকিতে বরযাত্রা দেখতে এ সময় বিয়েবাড়ি ও আশপাশের সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করেন উৎসুক জনতা। ডিজিটাল যুগে পালকিতে চড়ে বিয়ে দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

বর সবুজ ইসলাম বলেন, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই পালকিতে চড়ে বিয়ে করেছি। পালকি আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ছিল এক সময়। যদিও সেটি এখন আর চোখে পড়ে না। প্রাইভেটকারসহ ইঞ্জিন চালিত বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করেছি অনেক। কিন্তু পালকিতে চড়ে অনেক মজা পেয়েছি। বিশেষ করে চার বেহারা ছন্দে ছন্দে পালকি বয়ে চলেছেন-এটা বেশ ভালো লেগেছে।

বরের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার দাদির স্বপ্ন ছিল তার নাতি অর্থাৎ আমি যেন পালকিতে চড়ে বিয়ে করি। কিন্তু আমার বিয়ের সময় বন্যা হওয়ার কারণে সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি। দাদি মারা গেলেও তার কথা সব সময় মনে হতো আমার। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই, আমার বড় ছেলেকে পালকিতে চড়িয়ে বিয়ে করাব। অনেক খুঁজে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর এলাকা থেকে ছয় হাজার টাকা ভাড়ায় পালকি এনেছি। প্রথমে আমি ও আমরা স্ত্রী নিজ এলাকায় পালকিতে চড়ে ঘুরেছি। তারপর আমার ছেলেকে বর সাজিয়ে বিয়ে করাতে গেছি।

বেহারাদের সর্দার পরেশ দাস বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর পালকির জন্য তেমন ডাক পড়ে না। তবে মাঝে মধ্যে ডাক পেলে খুব ভালো লাগে। সারা বছর কৃষিসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও পালকির জন্য ডাক পড়লেই সঙ্গীরা ছুটে আসে। প্রতিটি বরযাত্রায় দুই হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর