• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পতেঙ্গা সৈকত ঘিরে মাস্টার প্ল্যান তৈরিসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত কর্মপরিধি বাড়ছে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের উত্তরের যোগাযোগে আসবে গতি চট্টগ্রাম বন্দরে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ হেমায়েতপুরে হবে বহুতল টার্মিনাল চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখের বেশি পশু প্রস্তুত দেশকে আরও এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ : নানক শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বৈদেশিক ঋণের প্রকল্পে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনে সফলতা একক গ্রাহকের ঋণসীমা অতিক্রম না করতে নির্দেশ ব্যাংকগুলোকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রত্যাশা নতুন অধ্যায়ের বিপিসির এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট আধুনিকায়ন, জুনে চালু রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা

বর্তমান সরকারের আমলে ভালো আছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৭৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩

রাজধানীতে এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, সংখ্যালঘুরা তুলনামূলক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনেক ভালো অবস্থানে আছেন। দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়নের হার নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার অনেক তড়িৎ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ২০০১ সালে এ ধরনের পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অথচ এ সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যেসব ভুল তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি: সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মানবাধিকার সংগঠন এমপাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) এই সেমিনারের আয়োজন করে। এলকপ’র পক্ষ থেকে একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন আরেফিন মিজান। এতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। এতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের হার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা ২০০১ সালে অনুপস্থিত ছিল। গবেষণা প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সুপারিশমালা আমলে নিয়ে সরকারকে দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এলকপ’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রানা দাস গুপ্ত, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভেন থেরো সুনন্দপ্রিয়, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এবং এলকপের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ওপর একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সহিংসতা ঘটেছে। সরকারের উচিত এর পেছনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ভেন থেরো সুনন্দপ্রিয় বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা তুলনামূলক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনেক ভালো অবস্থানে আছেন।’ অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নে সরকারকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান সঞ্জীব দ্রং।

আলোচনায় নির্বাচনকালীন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা সব ধরনের সংখ্যালঘুদের সমমর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। পরে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও, আই-এনজিও এবং মানবাধিকার কর্মীরা।

সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের একটি অংশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে সচেষ্ট রয়েছে। বাংলাদেশ খুবই কম সংখ্যক দেশের মধ্যে অন্যতম, যে দেশ সংখ্যালঘুদের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং তা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেমিনারে জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সকল মানুষের বসবাসের জন্য দেশকে একটি উন্নত স্থান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর