• শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বৈশাখ হবে বিপুল প্রেরণাদায়ী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৭৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ (পহেলা বৈশাখ) উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রিয় দেশবাসী আসসালামু আলাইকুম। দেশে ও দেশের বাইরে আপনারা যারা বসবাস করছেন বাংলাদেশের সব ভাইবোনকে বঙ্গাব্দ ১৪৩০-এর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুভ নববর্ষ।

তিনি বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে দেশ আরও একটি বছর পার করেছে। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ নতুন বছরের এই শুভক্ষণে আমরা যেন সব অন্ধকার ও প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি এই প্রার্থনা। শুভ নববর্ষ। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন।

এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ তথা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবারের বৈশাখ হবে আমাদের জন্য বিপুল প্রেরণাদায়ী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, বাঙালির মহামিলনের দিন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে আজ নব-আনন্দে জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। মোগল সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসাবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা সময়ের পরিক্রমায় আজ সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদযাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তার মুখচ্ছবি দেখতে পায়। বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

পাকিস্তান আমলে ঔপনিবেশিক শক্তি বাঙালির ঐতিহ্যকে নস্যাৎ করতে চেয়েছে। বাঙালি দুর্বার প্রতিরোধে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে তা প্রতিহত করেছে। সেই শক্তিকে ধারণ করে শামিল হয়েছে মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নববর্ষের এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। এই পথ বেয়ে বিশ্বসমাজে বাঙালি হয়ে উঠবে শ্রেষ্ঠ জাতি।

আমির হোসেন আমুর শুভেচ্ছা : দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপন বাঙালির চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার সাংস্কৃতিক জাগরণ। চির নতুনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয় বাঙালি জাতি। বাংলা বর্ষবরণ বাঙালি জাতির সর্ববৃহৎ সর্বজনীন সাংস্কৃতিক উৎসব।

তথ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা : বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সব বাংলা ভাষাভাষীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বাংলা নববর্ষবরণকে বাঙালির সর্বজনীন উৎসব হিসাবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সব ভাষাভিত্তিক জাতির নিজস্ব সর্বজনীন উৎসব-পার্বণ রয়েছে। চীনাদের ‘চীনা নববর্ষ’, ইরান থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত ‘নওরোজ’, ইংরেজি ভাষাভাষীদের ‘ইংরেজি নববর্ষ’, ঠিক তেমনই পয়লা বৈশাখ বাঙালিদের সর্বজনীন উৎসব।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর