সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে ভূমি দখল করে বহুতল বাড়ী নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে খালিদ আহমেদ ও মহিউদ্দিন শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গত ১৫ মে ২০২৪ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার স্টেশন রোড মোক্তারপাড়া মহল্লার মৃত এরশাদ উল্লার ছেলে রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরাবর বাড়ীর প্লান বাতিল ও বাড়ি নির্মাণ বন্ধ করার জন্যে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দলিল গ্রহিতা দাদী-জেলেমন নেছা (মৃত), স্বামী মোকছেদ আলী সরকার (মৃত) ও বর্ণিত তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি মৌজা-ভূতেরদিয়ার/জেল নং ৮৬/এসএ খতিয়ান নং ২৮৭/আরএস খতিয়ান নং ৩৪৭, খলিল উদ্দিন তালুকদারের নিকট থেকে বিক্রয় কবলা দলিল মূলে ক্রয়করে এসএ রেকর্ডভুক্ত হয়। ১৩-৩-১৯৬৭ সালে জেলেমন নেছা কর্তৃক সিরাজগঞ্জ মিউনিসিপ্যাল কমিটিকে দেওয়া ট্যাক্স প্রদানের রশিদ (বুক নং ৮৮, রিসিড নং ৮৭৭১) এই আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করা হল। এই সম্পত্তি পরবর্তীতে তাদের ওয়ারিশ (৩ ছেলে) ও (১ মেয়ে) যথাক্রমে মৃত এরশাদ উল্লা, মৃত আহমদ উল্লা, মৃত মাহমদ উল্লা ও মেয়ে মোছা. উম্মে হায় বেগমের নামে খতিয়ান ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে আরএস রেকর্ড ভুলক্রমে একমাত্র মেয়ের নাম রেকর্ডে উঠে নাই। কিন্তু ৩ ছেলের নামে আরএস রেকর্ড রয়েছে। ঐ সম্পত্তি এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে ভাগ বন্টন বা কেনা বেচা হয়নি। বর্তমানে তারা তিন ভাই ইন্তেকাল করেছেন। তাদের বড় ভাই মৃত এরশাদ উল্লাহর বড় ছেলে ও পরিবারবর্গ ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছে। কিন্তু হঠাৎ জানা যায় মৃত এরশাদ উল্লাহর দুই ভাই মৃত আহমদ উল্লা ও মৃত মাহমদ উল্লার ছেলেগণ অবৈধভাবে কাউকে না জানিয়ে ওয়ারিশভুক্ত ৮.৭৭ শতক সম্পত্তি দখল করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে ওয়ারিশ বন্টন না করে বহুতলা ভবন নির্মাণ করেছেন।
অভিযোগকারী মৃত এরশাদ উল্লার ছেলে রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার চাচাতো ভাই মৃত আহমদ উল্লার ছেলে খালিদ আহমেদ (পুলিশ সদর দপ্তর কর্মরত) ও মৃত মাহমদ উল্লার ছেলে মহিউদ্দিন শফিউল্লাহ (ঢাকা যাত্রাবাড়ী জোনে ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত) কে আমাদের এই জমি ভাগ বন্টন করার জন্য তাগিদ দেয়। কিন্তু হঠাৎ জানতে পারি যে আমার দুই চাচার ছেলেগণ অবৈধভাবে আমাদের না জানিয়ে, আমাদের ওয়ারিশভুক্ত সম্পত্তি দখল করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে ওয়ারিশ বন্টন না করে আমাদের ও আমার ফুফুর হক দখলিও সম্পত্তিতে বহুতলা ভবন নির্মাণ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়েরা পুলিশে চাকুরী করার সুবাদে আমাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং কমমূল্যে আমাদের নিকট থেকে ঐ জমি ক্রয় করার পাঁয়তারা করছে। রাশিদুল ইসলাম আরোও বলেন, আমাদের ও আমার ফুফুর হক দখলিও সম্পত্তিতে বহুতলা ভবন নির্মাণ বন্ধের জন্য সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন শফিউল্লাহ বলেন, এই সম্পত্তি নিয়ে যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা আমাদের চাচাতো ভাই। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করে। তারা নিজেরা আমাদের নিকট না এসে পৌর মেয়র বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সম্পত্তিতে তাদের কোন অংশ নেই। মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, এ বিষয় আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।