• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

মার্চের দিকে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে ষড়যন্ত্র হচ্ছেঃ প্রধানমন্ত্রী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সরকারি প্রটোকল না নিয়ে পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজ জেলা গোপালগঞ্জে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। একসময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না।

উসকানি আছে যে নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে।এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কে যে ভোটারদের অধিকার কাড়বে। ভোটারদের অধিকার কাড়ার ক্ষমতা তাদের নেই।

নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুনসন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের প্রতিহত করে আগুনেই ফেলে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা এদের ওপর ভর করেছে। পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটাল, এর চেয়ে জঘন্য কাজ মনে হয় আর হতে পারে না।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার তারা আউটসোর্সিং আন্দোলন করে। সমাজের কিছু অবাধ্য লোকজনের হাতে টাকা দিয়ে আগুন দেওয়ায়। যুবদলের নেতা নিজে সরাসরি আগুন দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জনগণ কিন্তু সচেতন। তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিয়ে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘২০০৭ সালে জীবনে আর রাজনীতি করবে না বলে তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। সেখানে বসে দেশের মানুষকে হুকুম দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, তখন সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই একইভাবে এ দেশে হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি শুরু করে। পুরোটাই একটা খুনি পরিবার। প্রথম দিকে বিএনপির আন্দোলন করায় কিছু মানুষের সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু সহিংস আন্দোলন করায় মানুষ এখন আর তাদের সঙ্গে নেই।’

আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস উল্লেখ করে দলের সভাপতি বলেন, ‘আমরাই তো স্লোগান তুলেছিলাম আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছি। আর সেই আন্দোলন সফল করতে সরকারে এসে একটানা সরকারে থেকে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে গত ১৫ বছরের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলব আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। আমি একজন প্রার্থী। আর প্রার্থী হলে তো ভোট চাইতে হয়। তবে এখনো ভোট চাওয়ার সময় হয়নি। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এরপর ভোট চাইতে হবে।’

শেখ হাসিনা কোটালীপাড়ার ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমাকে সারা দেশ নিয়ে চিন্তা করতে হয়, ভাবতে হয়। আমার নির্বাচনী কাজ আপনারাই করে দেন। যে কারণে আমি সারা দেশের মানুষের কথা ভাবতে পারি, কাজ করতে পারি। যার সুফল সারা দেশের মানুষ পায়। এবারও আপনাদের ওপর আমার নির্বাচনী সব দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম।’

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লাহ খন্দকার, আয়নাল হোসেন সেখ প্রমুখ।

গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে আবার টুঙ্গিপাড়ায় ফিরে যান। বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর