• রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

তাড়াশে দিঘীসগুনা এম এ আর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১২১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিঘীসগুনা এম এ আর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মির্জা আব্দুর রশিদ মাহমুদ বকুলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, নিয়োগ বানিজ্য, প্রতিষ্ঠানের আসবাব পত্রসহ সম্পত্তি বেহাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়াও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালা বদ্ধ করে শিক্ষা কার্যক্রমসহ প্রাতিষ্ঠানিক সকল কাজকর্ম বন্ধ করে রেখেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দিঘীসগুনা গ্রামে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দিঘীসগুনা এম এ আর নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মির্জা আব্দুর রশিদ মাহমুদ বকুল সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনের পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষককে তার পদ থেকে সরিয়ে তার পছন্দের একাধিক সহকারী শিক্ষকে দায়িত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।

শুধু তাই নয় তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে অন্যের দান করা ৮০ শতক জমির মধ্যে ৪০ শতক জমি তার নিজ ছেলে মির্জা ফারুকের নামে বিক্রি রেজিষ্ট্রি করে দেন। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় তিনি অবৈধ ভাবে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে যাবতীয় কাগজপত্র, ফাইল, রেজুলেশন বহি, বিদ্যালয়ের দলিল পত্রাদিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দলিলাদি সরিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে প্রতিষ্ঠানে দাপ্তরিক কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. মুনসুর রহমান, গোলামদি, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইদ্রিস আলীসহ এলাকার প্রায় শতাধিক লোকজন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল ইসলাম তালা খুলে তালাবদ্ধ কক্ষটিতে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকায় এলাকার লোকজনের সামনে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল ইসলাম তালা খুলে তালাবদ্ধ কক্ষটিতে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি মির্জা আব্দুর রশিদ মাহমুদ বকুল বলেন, গ্রাম্য কোন্দলের সুযোগে আমাকে হেয় করতে একটি মহল এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আইনে আশ্রয় নিয়েছি ন্যায় বিচারের জন্য।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার মো. নুর নবী বলেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত নয়। তাই আমার কোন দায়িত্ব নেই। স্থানীয় লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর