• বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

এক ছাদের নিচেই ভূমি সংক্রান্ত ১৫ সেবা

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

রাজধানীর ভূমি ভবনে অবস্থিত ‘নাগরিক ভূমি সেবাকেন্দ্র’। এক ছাদের নিচে যেখানে মিলছে ভূমিবিষয়ক ১৫টি সেবা। সরাসরি সেবা নেওয়ার পাশাপাশি ঘরে বসেও কল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকরা। প্রবাসে থাকা গ্রাহকরাও সহজে প্রদান করতে পারছেন ভূমি উন্নয়ন কর। সরাসরি মিলছে ভূমিবিষয়ক পরামর্শ। এতে কমছে ভূমিসেবায় ভোগান্তি। যদিও প্রচারণার অভাবে এখনো অনেকের কাছে অজানা রয়ে গেছে। ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, সারাদেশে গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে ভূমি অফিসগুলোতে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে দ্রুতই।

এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, ‘বর্তমানে শুধু ভূমি ভবনে এই সেবাকেন্দ্রটি চালু রয়েছে। আমরা একটি পরিকল্পনা নিচ্ছি কীভাবে স্মার্ট ভূমিসেবা প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছানো যায়। আশা করছি, আগামী ৬ মাসের মধ্যে সারাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নের ভূমি অফিস, এসি ল্যান্ড অফিসগুলোতে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করতে পারব। এতে করে গ্রাহকরা ঘরে বসে

ভোগান্তি ছাড়াই মোবাইল এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভূমিবিষয়ক সব সেবা পাবেন।’

ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমি ভবনে অবস্থিত নাগরিক সেবাকেন্দ্রে নামজারির আবেদন, পর্চার কপির আবেদন, মৌজা ম্যাপের আবেদন, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ ভূমিবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি সেবাকেন্দ্রে আসতে না চাওয়া গ্রাহকদের জন্য রয়েছে স্মার্ট কল সেন্টার। যেখানে ঘরে বসেই গ্রাহকরা সেবা পাচ্ছেন। এছাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে ফেসবুক, ই-মেইলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। নাগরিকদের অভিযোগ প্রতিকারের জন্য রয়েছে ব্যবস্থাপনা টিম এবং কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য স্মার্ট কারিগরি সহায়তা টিম।

ভূমি ভবনের তথ্য বলছে, স্মার্ট ভূমিসেবা কল সেন্টার ও স্মার্ট নাগরিক সেবাকেন্দ্রে মোট ৭২ জন কর্মী সেবা দিচ্ছেন। চালু হওয়ার পর থেকে গত এক বছরে নাগরিক সেবাকেন্দ্রে সশরীরে সেবা নিয়েছেন ১৭ হাজার ৩৬০ গ্রাহক। একই সময়ে কল সেন্টারে সেবা নিয়েছেন ২৩ লাখ ১৮ হাজার গ্রাহক। এর মধ্যে ভূমি উন্নয়ন করবিষয়ক সেবা নিয়েছেন ৫ লাখ ৯১ হাজার গ্রাহক। নামজারিবিষয়ক সেবা নিয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার গ্রাহক এবং খতিয়ানবিষয়ক সেবা নিয়েছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার গ্রাহক। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তথ্য নিয়েছেন ৪৫ হাজার ১০৫ গ্রাহক।

নাগরিক সেবাকেন্দ্র থেকে ভূমিবিষয়ক সেবা নিতে পারছেন প্রবাসীরাও। গত এক বছরে ১২ হাজার ২৬০ প্রবাসী নাগরিক ভূমিবিষয়ক সেবা নিয়েছেন। ভূমি ভবন বলছে, সেবা নেওয়া গ্রাহকদের মধ্যে ৯৬ শতাংশই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিকেএমপি অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব জাহিদ হোসেন পনির বলেন, ‘বর্তমানে এজেন্ট, ল্যান্ড এক্সপার্ট এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব লোকবল সেবা প্রদান করছে। সম্প্রতি আরও ১৭ জন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়েছে যাদের মধ্যে দলিল, মিউটেশনসহ সেক্টর ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। আমাদের ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে আমরা সারাদেশের গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়মিত পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নিচ্ছি। সারাদেশে নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্র চালু হলে ভূমি অফিসে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকবে না।’

সম্প্রতি রাজধানীতে নাগরিক সেবাকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের ভিড়। গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ডেস্ক। প্রতিটি ডেস্কের সামনে রয়েছে ডিজিটাল স্ক্রিন এবং সেবাপ্রদানকারী কর্মী। সেবা নেওয়ার পর কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি জানানোরও ব্যবস্থা রয়েছে। সেবা নিতে আসা মগবাজার এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উদ্যোগটা বেশ ভালো। আগে ভূমি কর দিতে হলে অফিসে যেতে হতো। ভোগান্তি আর ঘুষের মতো বিষয় ছিল। এখানে পরিবেশটাও সুন্দর, জটিলতাও কম।

রামপুরা এলাকার বাসিন্দা আমেনা বেগম এসেছিলেন সেবা নিতে। সন্তষ্টির কথা জানান তিনিও।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর