• বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

আরও ৬ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ, মত দিল ইউজিসি

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৯৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩

চলছে আশ্বিন মাস। হচ্ছে টানা বৃষ্টি। কখনও ভারী বর্ষণ, কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। ফলে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। কিভাবে জোগাড় হবে প্রতিদিনের ডাল-চালের খরচ, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার টাকা কিংবা এনজিওর কিস্তির টাকা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে মাথায় ভারী হচ্ছে চিন্তার বোঝা।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাঘমারা, চর বন্দবের, কুটিরচর, ফলুয়ারচর, বাগুয়ারচর, বাইটকামারী, খঞ্জনমারাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এক শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ বৃষ্টির মধ্যেই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের কর্ম। অপরদিকে কৃষকের কাজ থেমে থাকলেও থেমে নেই ভ্যানচালকের ভ্যান চালানো। ভ্যানের ওপরে পলিথিন টাঙিয়ে ছুটে চলছেন বিভিন্ন এলাকায়।

কথা হয় ভ্যান চালক আজাহার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, তার মাথায় কিস্তির চাপ। তাই ঘরে বসে না থেকে টাকা আয় করতে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি। এভাবে বৃষ্টি হলে কিস্তির টাকা জোগাড় করা মুশকিল হয়ে পড়বে।

চায়ের দোকানে গল্পে মজে থাকা কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ি থেকে আর কি করবো। তাই চলে আসলাম হাফিজুরের চায়ের দোকানে। আর তা না হলে বৃষ্টিতে বাড়িতে বন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। তাই দোকানে এসে লোকজনের সঙ্গে কথা বললে সময় কেটে যায়।

কলা ব্যবসায়ী আমিনুলের ভাষ্য, বৃষ্টির দিনে বেচা-কেনা খুবই কম। ছেলের প্রাইভেটের খরচের টাকা জোগাড় করতেই বৃষ্টির মধ্যে কলা বিক্রি করতে এসেছেন। তবে বৃষ্টির কারণে সব কলা বিক্রি হবে না।

এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে অনেকেই ছাতা মাথায় দিয়ে ছুটে চলছেন তাদের গন্তব্যের দিকে। বৃষ্টির কারণে দিনভর চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। আসন্ন রাজনীতি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে কথার ফুলঝুড়ি।

এদিকে অতি বৃষ্টির কারণে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে বেঁধে গেছে পানি। পানি উপেক্ষা করেই কেনাবেচা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। একদিকে বৃষ্টি। অপরদিকে সবজির উচ্চ মূল্য এই দুইয়ের আঘাতে হতদরিদ্র মানুষের দিন কাটছে সংকটে। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর