• শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

আমরা চাই সব দল নির্বাচনে আসুক: প্রধানমন্ত্রী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৯২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসু। সবাই নির্বাচনে অংশ নেবে আমরা সেটাই চাই। আর যদি কেউ না আসে এটা দলের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমরা সংবিধান বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।সময় মতো নির্বাচন হোক।
ভারত সফর নিয়ে আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক বা ইত্যাদি বলে চিৎকার করছে তারা ওয়ান ইলেভেনের কথা ভুলে গেছে? ২০০৭ এর কথা ভুলে গেছে? কী অবস্থাটার সৃষ্টি হয়েছিল? কী সাংবাদিক, কী রাজনৈতিক কর্মী, কী ব্যবসায়ী- সবার নাভিশ্বাস উঠেছিল। সেই অবস্থা থেকে তো সবাই অন্তত মুক্তি পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগ একটানা অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভুলে গেছেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করার পর বারবার ক্যু হচ্ছিল। একটা মিলিটারি ডিক্টেটরের পর আরেকটা মিলিটারি ডিক্টেটর অথবা ডিক্টেটরের স্ত্রী ক্ষমতা নিয়ে গেল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। জনগণের কী ছিল তখন? সারারাত কারফিউ। কথা বলার অধিকার নাই। সাদা মাইক্রোবাস হলেই তো কে কখন গায়েব হয়ে যাচ্ছে ঠিক নাই। এইতো ছিল বাংলাদেশের অবস্থা। আওয়ামী লীগ আসার আগে কে এতো কথা বলার সুযোগ পেয়েছে বলেন তো? তবে হ্যাঁ, এখন শুনি, সব কথা বলার পরে বলে- কথা বলার অধিকার নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যে বিএনপির হাতে নির্যাতিত সে কথাটা ভুলে গেছেন? সবাই চড়াও হচ্ছে। সেই জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করল। এরপর থেকে একের পর এক। লাশ টানতে টানতে তো নাভিশ্বাস উঠেছিল আওয়ামী লীগের। আজকে কি সেই পরিস্থিতি আছে? এমনকি আমার দলের লোকও অন্যায় করলে ছেড়ে দেই না। যে অন্যায় করে তার বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিই। এই দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আসুক।
মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কথা বলার অধিকার, চলার অধিকার, সমালোচনার অধিকার, প্রশংসা করার অধিকার- সবই তো পাচ্ছেন। কাউকে মুখ বন্ধ করে রাখছি না, বাধা দিচ্ছি না। মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা আমি দিয়েছি- এটা স্বীকার করতে হবে। আমার স্বার্থ- এ দেশের মানুষ ভালো থাকুক। আমি দেশের জন্য কাজ করেছি, মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমার দেশের মানুষ ভালো আছে কিনা আমি সেই হিসাবটাই নিই।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইলে জনগণ অবশ্যই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের সাথে কে থাকবে না-থাকবে… নতুন জোট হবে- হোক, অসুবিধা নাই। আওয়ামী লীগ উদার, দরজা খোলা।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নে গতবারের তুলনায় ৩১ জন প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা সংসদ নির্বাচনেও থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নে পরিবর্তন স্বাভাবিক ব্যাপার।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মুক্তিযুদ্ধকালে সহযোগিতা এবং ভাষা ও সংস্কৃতির মিলের কারণে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মতি এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারত সমৃদ্ধশালী দুই দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গত ৫ সেপ্টেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
হায়দারাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনা হয়। এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর