• সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

৯৮৮ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন সহযোগীদের

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে তেমন বাড়েনি বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি। সদ্যঃসমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রকল্পের তহবিল ও বাজেট সহায়তার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৯৮৮ কোটি ডলার বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮.৯২ শতাংশ বেশি। যদিও ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি ছিল ৯০৭ কোটি ডলার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে কয়েক অর্থবছরে বাংলাদেশে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল ১০.১৭ বিলিয়ন ডলার।

জানা গেছে, বাংলাদেশ একক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৭.৯৬ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। ওই সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণচুক্তি সই হয়েছিল, তারই অংশ ছিল এ প্রতিশ্রুতি।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে আরো বেশি ঋণ প্রতিশ্রুতি আদায়ের সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ঋণের সুদহার বেশি হওয়ার কারণে এর বেশি ঋণ না চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ইআরডি কর্মকর্তারা বলেন, বাজারভিত্তিক ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ার কারণে শুধু বাজারভিত্তিক ঋণ দেয়, এমন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ঋণে সরকারের আগ্রহ ছিল না। এ কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়ে গেছে।

এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো উন্নয়ন সহায়তা সংস্থাগুলো সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেটকে (সোফর) রেফারেন্স রেট হিসেবে ব্যবহার করে ঋণ দিয়ে থাকে। অর্থাৎ এসব সংস্থার সব ঋণই বাজারভিত্তিক ঋণ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সোফর রেট উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে সোফর ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এ হার ১ শতাংশের কম ছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২.৯৪১ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ।

সংস্থাটি এরই মধ্যে ৬৫ মিলিয়ন ডলারের দুটি বাজেট সহায়তা দিয়েছে সদ্যোবিদায়ি অর্থবছরে। বাজেট সহায়তা ছাড়াও ১১টি প্রকল্পের জন্য এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের ২.৬১৮ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি বাজেট সহায়তা রয়েছে। আর জাপানের কাছ থেকেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২.৩০৯ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।

এদিকে গত দুই অর্থবছরে সরকার এআইআইবি থেকে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ নেয়নি। এআইআইবির কাছ থেকে সদ্যোবিদায়ি অর্থবছরে কোনো প্রকল্প ঋণ না নিয়ে শুধু ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি বাজেট সহায়তা চুক্তি সই করেছে সরকার। গত অর্থবছরে চীনের সঙ্গে কোনো ঋণচুক্তি হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চীন, ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো ঋণচুক্তি সই হয়নি। চীনের সঙ্গে সর্বশেষ ২৭৬.২৬ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই হয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর