• রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয় আজ পবিত্র আশুরা

৭ খাতে বিনিয়োগ হবে সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন তহবিল (বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ) বিধিমালা ২০২৪ গেজেট প্রকাশ
– ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে এবং দেশের বাইরে বিনিয়োগ করা যাবে না
– একক খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ শতাংশের বেশি হবে না

সর্বজনীন পেনশনের তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করা হবে সাত খাতে। এসব খাতের মধ্যে ট্রেজারি বন্ড, ট্রেজারি বিল ও সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পও রয়েছে। তবে সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ কোনোক্রমেই ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা যাবে না। একই সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের বাইরেও বিনিয়োগ করা যাবে না এই তহবিলের অর্থ। কোনো একক খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ তহবিলের মোট অর্থের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। তবে কোনো সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

সর্বজনীন পেনশন তহবিল (বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ) বিধিমালা ২০২৪-এ এসব বিধান রাখা হয়েছে। বিধিমালাটি গত সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে- সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ সুকুকসহ অন্যান্য সরকারি সিকিউরিটি; বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক অনুমোদিত বা নিয়ন্ত্রিত মিউচুয়াল ফান্ড; বিএসইসি কর্তৃক অনুমোদিত ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির বন্ড; সরকার বা সরকারি কোনো সংস্থা কর্তৃক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য গৃহীত বাস্তবায়নাধীন বা বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্প বা প্রকল্পের সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ এবং কোনো তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা যাবে।
তফসিলি ব্যাংকের বিষয়ে বিধিমালায় বলা হয়েছে- বাংলাদেশে অনুমোদিত রেটিং সংস্থা বা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক দীর্ঘ মেয়াদে অন্যূন ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে অন্যূন ‘এসটি-১’ বা সমমান রেটিং সম্পন্ন কোনো তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখা যাবে। তবে কোনো তফসিলি ব্যাংককে একাধিক রেটিং সংস্থা কর্তৃক ভিন্ন ভিন্ন রেটিং দেয়া হলে সে ক্ষেত্রে নি¤œতম রেটিংকে প্রকৃত রেটিং হিসেবে গণ্য করতে হবে।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটি নামে আট সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে। দেশের আর্থিক বাজার ও পুঁজিবাজারসহ বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো পর্যালোচনা-পূর্বক কম ঝুঁকিপূর্ণ ও বেশি লাভজনক পোর্টফোলিও বা খাতে বিনিয়োগের জন্য কমিটি সুপারিশ করবে। যথাসম্ভব পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিত করে বিনিয়োগের খাতগুলো নিরূপণ করতে হবে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটি সর্বোচ্চ ডিউ ডিলিজেন্স প্রয়োগ করে সুপারিশ করবে। তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশগুলো পর্যালোচনাপূর্বক ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’ তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এই কমিটি বৈঠকে প্রয়োজনীয় যেকেউকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। কমিটির সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন তহবিলের ব্যবসা উন্নয়ন ও তহবিলের অনুকূলে সম্পদ আহরণ, বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ নিরূপণ ও তহবিলের পুঞ্জিভূত অর্থের হিসাব পর্যালোচনা-পূর্বক কমিটি পেনশন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে। বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটি যেকোনো ব্যক্তিকে কমিটির সভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে যে, আমন্ত্রিত ব্যক্তি সভায় নিজস্ব বক্তব্য দিতে পারবেন, কিন্তু তার ভোট দেয়ার কোনো ক্ষমতা থাকবে না।

তহবিলের ব্যাংক হিসাবের বিষয়ে বিধিমালায় বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় ঘোষিত স্কিমগুলোর নামে এক বা একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে পৃথক পৃথক ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে। এ ছাড়া স্কিমের সুবিধার্থে বাংলাদেশে অনুমোদিত রেটিং সংস্থা বা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক দীর্ঘ মেয়াদে অন্যূন ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে অন্যূন ‘এসটি-১’ বা সমমান রেটিং সম্পন্ন অন্য কোনো তফসিলি ব্যাংকেও অনুরূপ ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে। তবে কোনো তফসিলি ব্যাংককে একাধিক রেটিং সংস্থা কর্তৃক ভিন্ন ভিন্ন রেটিং দেয়া হলে সেক্ষেত্রে নি¤œতম রেটিংকে প্রকৃত রেটিং হিসাবে গণ্য করতে হবে।

উল্লেখ্য, দেশের জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাদের বৃদ্ধকালীন জীবন-জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালু করতে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩’ প্রণয়ন করেছে সরকার। আইনের আওতায় ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং ওই বছরই ১৭ আগস্ট থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়। শুরুতেই সর্বজনীন পেনশনের চারটি স্কিম (প্রগতি, সমতা, প্রবাস ও সুরক্ষা) চালু করা হয় এবং সম্প্রতি গত ১ জুলাই থেকে ‘প্রত্যয়’ নামে আরো একটি স্কিম চালু করা হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরের ১ জুলাই বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, ২০২৪ সালের ১০ জুন পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। পেনশন স্কিমের চার ক্যাটাগরির স্কিমে মোট নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ১৭৬ জন এবং সাবস্ক্রিপশন বাবদ মোট জমা হয়েছে ৮৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে সমতা স্কিমে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪ জন, প্রগতি সাবইকমে ২১ হাজার ২৯৪ জন, সুরক্ষা স্কিমে ৫৬ হাজার ৯১৯ জন এবং প্রবাস স্কিমে ৭৯৯ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। নিবন্ধনকারীদের অর্থ থেকে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে ৮২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর