• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গার হাটিকুমরুলে বসতবাড়ির সম্মুখে রাস্তা বন্ধ করে প্রাচির নির্মান সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন

১৪ বছরে নিখরচায় আইনি সহায়তা পেয়েছেন পৌনে ৯ লাখ মানুষ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৭৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩

দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের বিনা খরচে আইনি সহায়তা দিতে ২০০৯ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ‘লিগ্যাল এইড’ গঠন করে সরকার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত আইনগত সহায়তা পেয়েছেন ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জন।

একই সময়ে সংস্থাটি ৮২ হাজার ৫৮৮টি বিরোধ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ৬ হাজার টাকা আদায় করে দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬৪টি জেলা কমিটির মাধ্যমে আইনগত সহায়তা পেয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪১৭ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৭৫ জন, পুরুষ ১ লাখ ৭০ হাজার ২৫৯ জন এবং শিশু ১ হাজার ৫৮৩টি। একই সময়ে ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে কারাগারে থেকে আইনগত সহায়তা পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ জন।

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে লিগ্যাল এইড দরকার। এর মাধ্যমে গরিব মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। তবে প্রচার-প্রচারণার প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। টেলিভিশনে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার সারা বছর ধরে লিগ্যাল এইডের প্রচার হওয়া দরকার।’

জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালমা আলী বলেন, ‘আইনি সহায়তা পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। লিগ্যাল এইড কেবল আদালতে নয়, শারীরিক-মানসিকভাবেও সহায়তা দিতে হবে। কেননা, অসহায় মানুষকে মামলা করেও পালিয়ে বেড়াতে হয়। যারা লিগ্যাল এইড দিচ্ছেন সেসব আইনজীবীর প্রশিক্ষণ দরকার। যাতে তাঁরা এটা দয়া মনে না করেন। এ ছাড়া লিগ্যাল এইডের প্রচার-প্রচারণা এবং বাজেটে বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।’

দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে। লিগ্যাল এইডের সারা দেশের জেলা পর্যায়ের কমিটি ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টে কমিটি রয়েছে। এটির চেয়ারম্যান হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।

আগামীকাল শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৩ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া সারা দেশের জেলা পর্যায়ে র‍্যালি, আলোচনা সভা, লিগ্যাল এইড মেলা, ম্যাগাজিন প্রকাশ ও প্রকাশনা সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির হাতে নেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর