• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার থেকেই ভোটের মাঠে নামছেন হাকিমরা

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১০০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবার ভোটের অন্তত ১২ দিন আগে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামাতে চায় নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে ২৬ বা ২৭ ডিসেম্বর থেকে ভোটের পর দুয়েকদিন পযন্ত তাদের নিয়োজিত রাখা হতে পারে। তবে আচরণবিধি প্রতিপালন ও নির্বাচনী অনিয়ম রোধে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরা মাঠে নামছেন মঙ্গলবার থেকেই।

নির্বাচনী এলাকার যাওয়া-আসার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অন্তত ৬ দিনের জন্য স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স এবং ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্যদের ভোটের দু’দিন আগে মোতায়েনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে কথা হয়েছে। আরও পর্যাযলোচনার পর কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ডিসেম্বরে পরিপত্র জারি করা হবে।

আর সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ‘সময়মত’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার তিনি বলেছেন, “নির্বাচনে সব সময় দেখেছি সেনাবাহিনী আছে। সেনাবাহিনী নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। প্রয়োজন হলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। যদি প্রয়োজন মনে করি, আমরা চাইলে সেনাবাহিনী দেবে। এতে সংশয় বোধ করার কোনো কারণ নেই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ রয়েছে। ১-৪ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতীক পেয়ে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন। এ সময় আচরণবিধি প্রতিপালনে ৮০২ জন নির্বাহী হাকিম এবং নির্বাচনী অনিয়ম রোধে ৩০০ বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে, যারা মঙ্গলবার থেকে নামছেন নির্বাচনী এলাকায়।

সেই সঙ্গে ভোটের দুদিন আগে থেকে ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিন পর্যন্ত (৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) ৫ দিন দায়িত্ব পালন করবেন আরো নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে থাকবেন তারা। এর বাইরে ‘বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা’ করতে নির্বাচনের আগে এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৭ লাখ সদস্য ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। কবে নাগাদ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে এবং ভোটকেন্দ্রে পুলিশসহ কত সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়ে পরিপত্র জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকও হয়েছে। তাতে বড়দিনের (২৫ ডিসেম্বর) দুয়েকদিন পর নির্বাচনী এলাকায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর টহল টিম নামানোর আভাস মিলেছে। জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন বলেন, “এবার ১৩ দিনের মত (আসা-যাওয়াসহ) আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ নির্বাচনী এলাকায় রাখা হতে পারে। আরেকটি ধাপে ৬ দিনের জন্য মোতায়েন করা হতে পারে তাদের। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্যদের নির্বাচনের দিনের দুই দিন আগে নিয়োজিত করা হতে পারে।”

তিনি জানান, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে এ সংক্রান্ত পরিপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত ১ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল পর্যন্ত পুলিশের টহল দল এবং ব্যাটালিয়ন আনসাররা নিয়োজিত থাকেন। ভোটের পরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ১৫ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রাখার কথা সিইসি ইতোমধ্যে বলেছেন। এবার ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন পুলিশ ও র‌্যাব, দুই হাজার ৩৫০ জন কোস্টগার্ড, ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য থাকবেন।

প্রায় ১২ কোটি ভোটারের এ নির্বাচনে কেন্দ্র থাকছে ৪২ হাজারের বেশি, যেখানে ২ লাখ ৬১ হাজার ভোটকক্ষে ভোট দেবেন ভোটাররা। বিএনপির বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ পর্যন্ত ১৫ দিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। সে সময় মেট্রোপলিটন এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ ২ জন পুলিশসহ ১৫ জন (অঙ্গীভূত আনসার পিসি-এপিসি, গ্রাম পুলিশ), ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন; মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। অবশ্য সেবার ১৪৭ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় সারাদেশে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসারের টহল দল নিয়োজিত ছিল। ৩০ ডিসেম্বরের সেই ভোটে বিজিবি ও কোস্টগার্ড মোতায়েন ছিল ২২ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ১১ দিন। র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ৮ দিন ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ১০ দিন এবং সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন ছিল। প্রতি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন ১৬ থেকে ১৮ জন করে।

 

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর