• শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রম্নতি ও অর্থছাড় বেড়েছে

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রম্নতি ও ঋণের অর্থছাড় বেড়েছে।

গত ২৫ ফেব্রম্নয়ারি প্রকাশিত ইআরডির প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে উন্নয়ন সহায়তা প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ৩০৬.১ শতাংশ, ঋণের অর্থছাড় বেড়েছে ৩.২৬ শতাংশ। একই সঙ্গে সরকারের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৪৪.৫২ শতাংশ।

উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে নতুন ৭.১৭ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের প্রতিশ্রম্নত ১.৭৬ বিলিয়ন ডলার থেকে অনেকটাই বেশি।

ইআরডি কর্মকর্তারা বলেন, ঋণ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যা প্রশংসনীয়।

তারা বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকে অনেকগুলো প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে ঋণচুক্তির উদ্যোগ নেওয়ার কারণে এই সাফল্য এসেছে। বিপরীতে আগের অর্থবছরে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নেওয়ায় বেশ কয়েকটি প্রকল্পের চুক্তি বিলম্বিত হয়েছিল।

ইআরডির তথ্য অনুসারে, বেশির ভাগ ঋণের প্রতিশ্রম্নতি এসেছে প্রধান তিন উন্নয়ন সহযোগী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক ও জাপান থেকে। তিন উন্নয়ন সহযোগী সম্মিলিতভাবে ৬.০৫ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে সর্বোচ্চ ঋণের প্রতিশ্রম্নতি এসেছে এডিবি থেকে, মোট ২.৬২ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি এই সময়ে জাপান থেকে ২.০২ বিলিয়ন এবং বিশ্বব্যাংক থেকে ১.৪১ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার প্রতিশ্রম্নতি পাওয়া গেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়কালে উন্নয়ন সহায়তা সংস্থাগুলো মোট ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ৪.২৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।

এদিকে বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাজারভিত্তিক ঋণের সুদহার বেড়েছে, যা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বাড়িয়েছে।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, সরকার অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে উন্নয়ন অংশীদারদের সুদ ও আসল পরিশোধে ১.৮৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়কালে ১.২৮ বিলিয়ন ডলার ছিল।

ইআরডির তথ্‌থ্যানুসারে, অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে শুধু সুদের অর্থ পরিশোধ বেড়েছে ১০৭.৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সুদ পরিশোধের জন্য ৭৬০.৭৪ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়েছে।

এই সময়ে সরকার বিভিন্ন ঋণের আসলের ১.০৯ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।

ইআরডি কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে সোফর রেট ছিল ১ শতাংশের কম।

এছাড়া এ সময়ে বাংলাদেশের বাজারভিত্তিক সুদহারে ঋণগ্রহণও ক্রমেই বাড়ছে, যার ফলে দেশের সুদ পরিশোধ বাড়ছে।

এডিবি থেকে বাংলাদেশের ঋণের প্রায় ৭৫ শতাংশই বাজারভিত্তিক সুদে নেওয়া। এছাড়া এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকেও বাজারভিত্তিক সুদহারে ঋণ নিয়ে থাকে বাংলাদেশ।

তাছাড়া বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকেও সীমিত পরিসরে বাজারভিত্তিক সুদহারে ঋণ নেয়।

ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান আন্তর্জাতিক সুদের হার অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ ১.১৯ বিলিয়ন ডলার সুদ পরিশোধ করবে বলে প্রক্ষেপণ হয়েছে। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩), বাংলাদেশের সুদ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৯৪৪ মিলিয়ন ডলার, এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৪৬৯ মিলিয়ন ডলার।

ইআরডি কর্মকর্তারা বলেন, সুদ পরিশোধের পাশাপাশি আসল পরিশোধের চাপও বাড়বে। বিভিন্ন বাজার সহায়তা ঋণ এবং কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা রেল লিঙ্কের মতো মেগা প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর এখন এসব ঋণের আসলের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর