• বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

প্রাণের বইমেলার দ্বার খুলছে আজ : উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ভাষার মাসের প্রথম দিনে আজ দ্বার খুলবে অমর একুশের বইমেলার। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের প্রাণের এ মেলায় থাকছে কবি, লেখক, সাহিত্যিকদের বইয়ের বিপুল সম্ভার। পাঠক, বইপ্রেমী, লেখক, সাহিত্যিক, প্রকাশকদের পদচারণায় মাসব্যাপী মুখরিত থাকবে মেলাপ্রাঙ্গণ।

প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে বিপুল কর্মযজ্ঞের পর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে দৃষ্টিনন্দন ও সুবিন্যস্ত করে সাজানো হয়েছে প্রায় এক হাজার ইউনিটের স্টল, প্যাভিলিয়নসহ অন্যান্য পরিষেবার অস্থায়ী স্থাপনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারো বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান : ভলিউম-২’ বইসহ কয়েকটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন সরকারপ্রধান। সেই সঙ্গে ২০২৩ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

উদ্বোধনের পরই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে ৪০তম বইমেলার দ্বার। যা একটানা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ?সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বইমেলা। শুধু ছুটির দিন প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। এ দুদিনে ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় মূলমঞ্চে সেমিনার, সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না।

২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা। এবারো শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ ও শৈল্পিক বিচারে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে। এছাড়া ভালোমানের সর্বাধিক শিশুতোষ গ্রন্থের জন্য একজন প্রকাশক পাবেন ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’। নান্দনিক স্টলের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান পাবে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’।

এবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় বিস্তৃত থাকছে বইমেলা। গতবারের চেয়ে অংশ নেয়া প্রকাশনা সংস্থা ৩৪টি বেড়ে যাওয়ায় এবার ইউনিট বেড়েছে ৩৬টি। সবমিলিয়ে ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮টি সংস্থা ও ইউনিট বেড়ে গিয়ে ১২০ প্রতিষ্ঠানের ১৭৩টি ইউনিট থাকছে। একইভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৬টি এবং ইউনিট বেড়েছে ২৮টি।

এতে উদ্যানে ৫১৫টি প্রকাশনার থাকছে ৭৬৪টি ইউনিট। তবে প্যাভিলিয়নের সংখ্যা এবার একটি বেড়ে হয়েছে ৩৭টি। যার একটি একাডেমি প্রাঙ্গণে বাকি ৩৬টি থাকছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। অবশ্য উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছতলায় স্থানান্তরিত লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে স্টল ১৭টি বেড়ে এবার হয়েছে ১৭০টি।

মেট্রোরেল স্টেশন থাকায় আঙ্গিকগত কিছু পরিবর্তন এনে এবার ‘বাহির পথ’ খানিকটা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশ ও এমআরটি বেসিং প্লান্টসহ সবমিলে আটটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রাখা হয়েছে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনের সীমানাঘেঁষে এমনভাবে বিন্যাস করা হয়েছে যাতে আগত পাঠক ও ক্রেতাদের মনোযোগ বিঘিœত না হয়। এবারো বড় পরিসরে শিশুচত্বর রাখা হয়েছে মন্দির গেটের কাছাকাছি।

এবার বইমেলা থাকবে পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত। সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে পুলিশ, র?্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তিন শতাধিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবেশ ও প্রস্থানপথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ে থাকছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলা নিবারণের জন্য পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশকনিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর