• বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সম্পাদক রনজক রিজভী সলঙ্গা থানা ইলেকট্রিক এন্ড প্লাম্বিং সমবায় সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ তাজবীর সজীবের ৫ বই সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ যমুনার তীর রক্ষায় আর দুর্নীতি হবে না -বিএনপি নেতা এম এ মুহিত সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা হাতিরঝিল লেক থেকে জি টিভির সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকে শোকজ চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ১৫ পুলিশ হত্যা, আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা সলঙ্গায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা,আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ঝাল বেশি কাঁচামরিচে, কেজি ১ হাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬% প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়

আ. লীগের নেতৃত্বেই দেশের মানুষ ভোট-ভাতের অধিকার ফিরে পায়

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে সেলিম, দেলোয়ারসহ যাঁরা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের রক্তের ঋণ কখনো শোধ হওয়ার নয়। দীর্ঘ সংগ্রাম ও অনেক তাজা প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ারের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনকে বিপন্ন করে বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর শূন্য হাতে তিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন, যখন ব্যাংকে কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না এবং কোনো কারেন্সি নোট ছিল না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ২৭৮টি রেল ব্রিজ এবং ২৭০টি সড়ক সেতু ধ্বংস করে, দুটি সমুদ্রবন্দরে মাইন পুঁতে এবং রাস্তাঘাটসহ সমস্ত স্থাপনা ধ্বংস করে রাখে। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতিতে রেকর্ড ৯ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গ্লানিকর যে ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট পাকিস্তানিদের এদেশীয় দোসরদের হাতে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যসহ প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। যার ফলে বাঙালিরা তাদের আত্মমর্যাদা হারিয়েছিল, হারিয়েছিল আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং সেই সঙ্গে তাদের সোনালি ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের সকল সম্ভাবনা। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর স্বৈরশাসকরা সঙ্গিনের খোঁচায় এ দেশের মানুষের ভাগ্য লিখতে শুরু করেছিল। আমরা দুই বোন বিদেশে থাকার কারণে আমাদেরকে তারা হত্যা করতে পারেনি।

দীর্ঘ ছয় বছর আমাদের বিদেশের মাটিতে রিফিউজি হিসেবে অবস্থান করতে হয়েছে।’

‘আমি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য লড়াই-সংগ্রাম শুরু করি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিই। বাঙালিরা বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে; স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গ করেছে; ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কত তাজা প্রাণ ঝরে পড়েছে হিসাব নেই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘১৯৮৪ সালের এই দিনেও ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম ইব্রাহিম সেলিম এবং কাজী দেলোয়ার হোসেনের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

সেদিন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে অসংখ্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীগণ সংহতি প্রকাশ করে যোগ দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি শুরু হয়েছিল, যার সামনে এবং পেছনে ছিল পুলিশের ট্রাক। মিছিলটি যখন ফুলবাড়িয়ার নিকট পৌঁছয়, ঠিক তখনই স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিলের ওপর অতর্কিতে পেছন থেকে ট্রাক চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহাদাতবরণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আবাসিক ছাত্র পটুয়াখালী জেলার বাউফলের সেলিম এবং পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ার দেলোয়ার, ক্ষতবিক্ষত ও আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন অসংখ্য ছাত্র এবং আমাদের দলীয় নেতাকর্মীগণ। তাদের এই মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের দুর্বার আন্দোলনকে আরো বেগবান করেছিল।’

সূত্র: কালের কণ্ঠ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর