• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে মারপিট আ’লীগ নেতা আরাফাতকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন সলঙ্গা থানা যুবলীগের সভাপতি পদে সিভি জমা দিলেন রিয়াদুুল ইসলাম ফরিদ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার

৩০ অক্টোবরের দিকে চোখ জাপার, রওশনও ফিরছেন

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১১৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২

আগামী ৩০ অক্টোবর রবিবার শুরু হতে যাচ্ছে চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন। রওশন এরশাদের ডাকা ২৬ নভেম্বরের জাতীয় পার্টির (জাপা) কাউন্সিল ও ‘বিরোধীদলীয় নেতা’ প্রশ্নে দলটিতে সৃষ্ট বিভক্তির কারণে অধিবেশনের প্রথম দিনের দিকে কৌতূহলী দৃষ্টি রাখছেন দলের নেতাকর্মীরা। সংসদের বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা ও জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদও ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে অধিবেশনের আগের দিন শনিবার দেশে ফিরছেন, পরদিন তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন। রওশন নিজেই দেশে ফেরার কথা জানিয়ে বলেছেন, তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।

রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বহাল থাকবেন, নাকি জি এম কাদের নতুন করে বিরোধীদলীয় নেতা হবেন—এই প্রশ্নের ফয়সালা দেখতে ৩০ অক্টোবরের সংসদ অধিবেশনের দিকে তাকিয়ে আছেন জাপার নেতাকর্মীরা। ‘দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে রওশন এরশাদ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না’—এমন কারণ দেখিয়ে তার পরিবর্তে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে গত ১ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয় দলটির পার্লামেন্টারি পার্টি। ঐ দিন সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জাপার পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে দলটির ২৬ জন এমপির মধ্যে ২৩ জন জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা মনোনয়ন করে গৃহীত প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।

স্পিকারকে দেওয়া জাপার ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। কিন্তু আগের অবস্থান থেকে সরে রওশনের পক্ষ নেওয়ায় এবং স্পিকারকে দেওয়া চিঠির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের। এরপর স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে রাঙ্গা সেই চিঠি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে জি এম কাদের ইত্তেফাককে বলেন, ‘বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হিসেবে উনি (রাঙ্গা) চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এখানে ব্যক্তি কোনো বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে, চিঠিটা জাপার পার্লামেন্টারি পার্টির, সিদ্ধান্তও পার্লামেন্টারি পার্টির। কাজেই, উনি (রাঙ্গা) সেই চিঠি প্রত্যাহারের অনুরোধ বা আবেদন করতে পারেন না। কেননা, সেটি তার ব্যক্তিগত কিংবা একার কোনো চিঠি নয়।’

চিঠির বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে জাপা। তবে চিঠির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে জানাননি স্পিকার। এ ব্যাপারে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেছেন, ‘চিঠি পেয়েছি। চিঠি নিয়ে কিছু জটিলতা আছে। চিঠিটা আমি পরীক্ষা করছি। সংশ্লিষ্ট আইন ও কার্যপ্রণালি বিধি পরীক্ষা করে দেখছি। এগুলো দেখা শেষ হলে আমি জানাব।’

প্রসঙ্গত, বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের বিষয়ে দেশের সংবিধানে কিছু বলা নেই। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্পিকারের। সংসদের কর্যপ্রণালি বিধির ২(১)(ট)-তে বলা বলা হয়েছে, ‘“বিরোধীদলীয় নেতা” অর্থ স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতে দল বা অধিসঙ্গের নেতা।’ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পরও বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া নিয়ে স্পিকারকে পালটাপালটি চিঠি দেন রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের। শেষ পর্যন্ত দলের ভেতরে সমঝোতায় রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা হন।

এদিকে, গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায়ও সর্বসম্মতিক্রমে জি এম কাদেরকে আবারও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করা হয়।

বিরোধীদলীয় নেতা প্রশ্নে দলে চলমান বিবাদ সম্পর্কে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল সোমবার ইত্তেফাককে বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা কে থাকবেন বা নতুন করে কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দলের পার্লামেন্টারি পার্টির। পার্লামেন্টারি পার্টি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেয়, সেক্ষেত্রে স্পিকারের কাজ শুধু স্বীকৃতি দেওয়া। আমাদের পার্লামেন্টারি পার্টি ও দলের প্রেসিডিয়াম সর্বসম্মতিক্রমে জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে। কাজেই, এখানে স্পিকারের এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্পিকার যদি জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি না-ও দেন, সেক্ষেত্রে উনি (জি এম কাদের) হয়তো বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে প্রাপ্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। কিন্তু আমরা জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা মেনে তার নেতৃত্বেই সংসদে যাব। রবিবার অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক হবে, সেখান থেকে তার নেতৃত্বে দলের এমপিরা অধিবেশনে যোগ দেবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, অধিবেশন শুরুর আগেই স্পিকার বিরোধীদলীয় নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। কারণ, উনি যদি সিদ্ধান্ত না জানান, সেক্ষেত্রে রবিবারের অধিবেশনে আমরা যদি সংসদে দাঁড়িয়ে বলি যে, রওশন এরশাদকে আমরা বিরোধীদলীয় নেতা মানি না, বিরোধী দল সম্পর্কিত সব কার্যক্রম জিএম কাদেরের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে, অন্যথায় আমরা ওয়াকআউট করব; তখন তো এসব কথা স্পিকারের জন্য অস্বস্তির হবে। এ কারণেই আমার বিশ্বাস, ৩০ অক্টোবরের আগেই এটা ফয়সালা হয়ে যাবে।’

২৯ অক্টোবর রওশন এরশাদ দেশে ফিরছেন, আপনি বা পার্টির চেয়ারম্যান বিমানবন্দরে যাবেন কি না, কিংবা দেশে আসার পর বিবাদ মেটাতে তার সঙ্গে দেখা করবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু ইত্তেফাককে বলেন, ‘না, আমরা কেউ বিমানবন্দরে যাব না।’

রওশনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকা ও ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’-এর চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ অক্টোবর দেশে ফিরছেন রওশন এরশাদ, পরদিন তিনি সংসদেও যাবেন।’

৩০ অক্টোবরকে ঘিরে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ‘আসন্ন অধিবেশনে সংসদে জি এম কাদেরের বিরোধীদলীয় উপনেতার আসনটি সরে যাবে। রওশন এরশাদের চেয়ারের পাশে তিনি আর বসতে পারবেন না। রওশন এরশাদের পাশের চেয়ারে বসবেন অন্য কেউ। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। জি এম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’ উপজেলা দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার রওশনপন্থিদের আয়োজিত এক আলোচনাসভায় রাঙ্গা এ কথা বলেন।

রাঙ্গার বক্তব্যের বিষয়ে জাপার মহাসচিব চুন্নু ইত্তেফাককে বলেন, ‘উনি (রাঙ্গা) এটা কীসের ভিত্তিতে বলেছেন জানি না। বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা, চিফ হুইপ, হুইপ কারা হবেন, তা নির্ধারণ করেন পার্টির চেয়ারম্যান। দলের গঠনতন্ত্রেই সেটা বলা আছে। পার্টির চেয়ারম্যান দলের এমপিদের ও প্রেসিডিয়ামের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি চূড়ান্ত করেন। কাজেই, জি এম কাদের সাহেব বিরোধীদলীয় উপনেতা থাকতে পারবেন না—এই সিদ্ধান্ত অন্য কারো নেওয়ার এখতিয়ার নেই।’

সূত্র:  ইত্তেফাক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর