• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মাধ্যমেই মেধা বিকাশের সুযোগ হবে মন্ত্রী-এমপির নিকটজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের টিকফা নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠক আজ যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু জাতিসংঘে পার্বত্য শান্তিচুক্তির অর্জন তুলে ধরল ঢাকা অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হবে কাতার আমিরের সফরে ১০ চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি জলবায়ু খাতে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে গ্রেপ্তারদেরও কর্মী দাবি করে বিএনপি আট মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ ৯০ ভাগ

নারী নির্যাতন

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২

নারী নির্যাতন বলতে নারীদের ওপর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যেকোনো ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনকে বোঝায়। আরো সহজ করে বললে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে নারীরা যখন অন্যের দ্বারা জোরপূর্বক বঞ্চনার সম্মুখীন হয় এবং শারীরিক, যৌন ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, সে পরিস্থিতিকে নারী নির্যাতন বলে। নারীর যেকোনো অধিকার খর্ব বা হরণ করা এবং কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বিষয় চাপিয়ে দেওয়া বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছানুসারে কাজ করতে বাধ্য করাও নারী নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত।

লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বা নারী নির্যাতন পৃথিবীজুড়েই রয়েছে।

বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এ ধরনের সহিংসতা এক দিকে যেমন নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে, অন্যদিকে তা পরিবার, সন্তানাদি এবং অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যায় ঘরে-বাইরে-কর্মক্ষেত্রে কোনো জায়গায়ই নারীরা নিরাপদ নয়। সব জায়গায় নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলে ক্ষেত্রবিশেষে তাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। এসব ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনের সঠিক প্রয়োগ, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি যুবসমাজকে নিয়মিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক পরিচালিত ২০১১ সালের জরিপ মতে, শতকরা ৮৭ ভাগ নারী স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্ট মতে, বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ বিবাহিত নারী জীবনে কোনো না কোনো সময়ে স্বামী কিংবা তার পরিবার বা উভয়ের দ্বারা নির্যাতিত হন।

নারী নির্যাতন বন্ধে প্রচলিত আইনের পাশাপাশি বাংলাদেশে ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পাস করা হয় এবং ২০০৩ সালে কিছু সংশোধনী  আনা হয়। এ আইনে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নারী ও শিশু অপহরণ, আটক করে মুক্তিপণ আদায় বা দাবি, নারী ও শিশু পাচার, নারী ও শিশু ধর্ষণ বা ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু ঘটানো, যৌন পীড়ন, যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে অঙ্গহানি করা, ধর্ষণের ফলে জন্মলাভকারী শিশুসংক্রান্ত বিধানসংবলিত অপরাধের বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়গুলো এসেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর ২০২০-এ সংশোধন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর