সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার

অনলাইন ডেস্ক
  • সময় কাল : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার কাহারঘোনা মিনজীরিতল অভ্যন্তরীণ সড়কটি ব্যস্ততম একটি পথ। উপজেলা সদরের সাথে সংযুক্ত এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক সিএনজি-অটোরিকশা ও বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘসময় ধরে বেহাল দশায় পড়ে থাকে এ সড়কটি। পরে সড়কটির সংস্কারের টেন্ডার হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ সড়কটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রায় এক দশমিক ৬০০ কি. মি. সড়ক সংস্কারের জন্য এক কোটি ৩১ লক্ষ টাকা টেন্ডারের কাজ পায় ফটিকছড়ির মেসার্স প্রিউরীলিপ এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা সদরের সাথে এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র জনগুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটির ইটগুলো কাজ করার জন্য খুলে ফেলে ঠিকাদার চলে গেছে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে। ফলে বৃষ্টির কারণে জলে-কাদায় একাকার হয়ে যায়। সাধারণ লোকজন ও যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়। বন্ধ হয়ে যায় উপজেলার সাথে যোগাযোগ।

বিশেষ করে এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ, স্কুল-মাদরাসা, কলেজগামী শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। কবে নাগাদ কাজ শেষ করা হবে তার কোনো সদুত্তর পাচ্ছেনা কেউ। সড়কের ইট খোলার পর ঠিকাদার এখন লাপাত্তার।

ঠিকাদারি কাজের দায়িত্বে থাকা সাজিদের নেতৃত্বে চলতি বছরের জুনের শুরুতে বাঁশখালীর ইউপি নির্বাচনের আগে পৌরসভার আস্করিয়া সড়কের পর থেকে সংস্কারের জন্য রাস্তার ইটগুলো দীর্ঘদিন থেকে তুলে ফেলে হলেও কাজ শুরু না করায় ভোগান্তি বাড়ছে দিন দিন।

বেশ কয়েকজন সিএনজি-অটোরিকশা চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এ সড়কে এক দিকে সমিলের গাছের ভোগান্তি অপর দিকে ইট তুলে নেওয়ার ভোগান্তি সব মিলে কষ্টের শেষ নেই।

সরল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ আজাদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ভোগান্তি দিচ্ছে। জনগণের কথা ভেবে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় টেন্ডার ও কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে রাস্তার ইটগুলো দীর্ঘদিন থেকে তুলে ফেলে রাখায় জনগণ আমাদের নানাভাবে মন্দ কথা বলছে।

ঠিকাদারের সাথে শহরে গিয়ে দেখা করেছি কাজটা শুরু করার জন্য।নানা অজুহাতে কাজ না করাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনগণ এমনটাই দাবী করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ঠিকাদার সাজিদকে ফোন দিলে তিনি বলেন, সড়কটির কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে। সড়কের কাজ এতদিন কেন বন্ধ ছিল জানতে চাইলে ব্যস্ত আছি, পরে ফোন দেব; এমনটি বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ঠিকাদারকে পুনঃকাজ শুরু করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর
এই নিউজ পোর্টালের লেখা,ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102